একটানা গরমের পর বর্ষাকাল স্বস্তি নিয়ে আসে বটে! তবে বর্ষায় বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে। ভ্যাপসা গরমে অস্বস্তি পোহাতে হয়। তাই যতই বৃষ্টি পড়ুক, এসি ছাড়া উপায় নেই! বর্ষাকালেও নিত্যদিনের সঙ্গী এয়ার কন্ডিশনার! প্যাচপ্যাচে আর্দ্রতার থেকে বাঁচার একমাত্র সহায় এই একটাই যন্ত্র। শুধু ব্যবহার করলেই হল না, এসির সঙ্গে বিদ্যুতের বিল বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও থাকে। তবে কয়েকটি সহজ কৌশল মেনে চললে বিদ্যুতের খরচে লাগাম টানতে পারেন৷
কীভাবে নাগালে থাকবে বিদ্যুতের খরচ
*এসির সঠিক তাপমাত্রাঃ বিশেষজ্ঞদের মতে, এসির তাপমাত্রা ২৪ থেকে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে রাখাই ভাল। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয় এবং ঘর ঠান্ডা থাকে। অনেকেই মনে করেন, ২৬ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ঘর ঠান্ডা হয় না, কিন্তু আসলে তা ঠিক নয়। সঠিক তাপমাত্রায় এসি চালালে বিদ্যুৎ বিল বাঁচাতে পারবেন। ব্যুরো অফ এনার্জি এফিসিয়েন্সি (বিইই) অনুসারে, আমাদের শরীরের জন্য সর্বোত্তম তাপমাত্রা হল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এই তাপমাত্রায় এসি ব্যবহার করলে বিল খুব বেশি আসবে না।
আরও পড়ুনঃ শরীরে কি বাসা বেঁধেছে জটিল রোগ? বলে দিতে পারে জিভের ধরন! ৬ লক্ষণ না বুঝলেই চরম বিপদ
* প্রয়োজনে ফ্যান চালানঃ এসির তাপমাত্রা খুব বেশি কমিয়ে না রেখে প্রয়োজনে এসির সঙ্গে সিলিং ফ্যান চালান। এসির সঙ্গে ফ্যান চালালে ঠান্ডা বাতাস সারা ঘরে ভালভাবে ছড়িয়ে পড়ে। ফলে এসিকে খুব বেশি পরিশ্রম করতে হয় না এবং বিদ্যুৎ খরচ কম হয়।
* রিমোট পরিষ্কারঃ অনেকে শুধু রিমোট ব্যবহার করেই এসি বন্ধ করে দেন। কিন্তু মেইন সুইচ বন্ধ করতে ভুলবেন না। অন্যথায় বিশাল বিদ্যুতের বিল আসতে পারে।

*টাইমার লাগানঃ রাতে এসি ব্যবহার করলে টাইমার ব্যবহার করতে পারেন। এতে নির্ধারিত সময়ের পরে আপনার এসি স্বয়ংক্রিয়ভাবে বন্ধ হয়ে যাবে। বিদ্যুৎ বিলও কমে আসবে। রাতে ঘুমোনোর সময় এসিটি স্লিপ মোডে রাখতে পারেন।
*দরজা-জানলা বন্ধ রাখুনঃ এসি চালানোর সময়ে ঠিক মতো জানালা এবং দরজা বন্ধ রাখুন । এতে যেমন ঘর ঠিকমতো ঠান্ডা হবে, তেমনই দীর্ঘ সময় ধরে এসি চালানোর প্রয়োজন হবে না।
*সার্ভিসিং করানঃ সপ্তাহে একদিন এসির ফিল্টার পরিষ্কার করুন। সময় মতো সার্ভিসিং করান। সময়ে সময়ে এসি সার্ভিসিং করালে বিদ্যুৎ বিল কম আসবে।
