প্রকৃতির নিয়মে বার্ধক্য একদিন আসবেই। সময়ের আগে এলে তা মোটেই সুখকর নয়। বেশ কয়েক বছর আগেও, কম বয়সে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা খুব একটা দেখা যেত না। আজকাল পরিবর্তিত জলবায়ু, অতিরিক্ত দূষণ সহ বিভিন্ন কারণে বয়স ৪০-এর কোটা পেরতে না পেরতেই চেহারায় পড়ছে বার্ধক্যের ছাপ, জেল্লা হারাচ্ছে ত্বক। বিশেষ করে ইদানীং কাজের চাপ, উদ্বেগ, ঘন ঘন রাত জাগার ফলে বাড়ছে চোখের তলায় কালির পড়ার সমস্যাও। যার জন্য নামীদামি প্রসাধনী ব্যবহার করেও অনেক সময় লাভ হয় না। আর তখনই ম্যাজিকের মতো কাজ করে ঘরোয়া টোটকা। এক্ষেত্রে রান্নাঘরের সবচেয়ে সহজলভ্য সবজি আলুই ডার্ক সার্কেল কমাতে সিদ্ধহস্ত।

আলুর রসের সঙ্গে এক চামচ কফি পাউডার, এক চিমটে হলুদ মিশিয়ে নিন। ১০-১৫ মিনিট এই মিশ্রণ লাগিয়ে রাখুন। ৭ দিনে উধাও হবে ডার্ক সার্কেল। 

মেচেতার সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে আলুর রস হতে পারে অন্যতম সমাধান। আলুর খোসা ছাড়িয়ে টুকরো করে কেটে মিক্সিতে ঘুরিয়ে নিন। তারপর রস ছেঁকে নিয়ে সারা মুখে লাগিয়ে রাখুন ঘণ্টাখানেক। শুকিয়ে খটখটে হয়ে এলে ঠান্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২-৩ দিন করলেই মিলবে উপকার।

ত্বকে আলু ঘষে ডার্ক সার্কেলের সমস্যাও সেরে যায়। আলুতে উপস্থিত এনজাইম ত্বককে ঠান্ডা করে প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। গোল আকারে পাতলা করে আলু কেটে ১০-১৫ মিনিট সারা মুখে ঘষুন। বিশেষ করে মুখের যে অংশে দাগছোপের পরিমাণ বেশি, সেখানে ভাল করে ঘষে নিন। কিছুক্ষণ পর ঈষদুষ্ণ গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। কয়েক দিনেই উঠে যাবে দাগছোপ।

আপনি যদি মুখের বলিরেখা এবং সূক্ষ্ম রেখার সমস্যায় ভোগেন তাহলেও সমাধান দেবে আলু। আপনি আপনার মুখে আলু ঘষে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আলুতে উপস্থিত ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদন বাড়িয়ে বলিরেখা ও সূক্ষ্ম রেখা কমায়।