পুজো আসতে আর এক মাসও বাকি নেই।  শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের আমেজ। দুর্গাপুজো মানেই জমিয়ে সাজগোজ, প্যান্ডেল হপিং, জমাটি আড্ডার মেজাজ। ঘরে হোক কিংবা বাইরে, পুজোর সময়ে সকলের মাঝে মধ্যমণি হয়ে উঠতে কে না চান! তাই তো সারা বছর যতই সময়ের অভাব থাকুক, পুজোর আগে চাই স্পেশাল কেয়ার। কারওর চিন্তা অল্প দিনে ঝরাতে হবে মেদ, কেউ আবার চটজলদি ফিরে পেতে চান ত্বক-চুলের জেল্লা। যার জন্য খুব বেশি পরিশ্রমের প্রয়োজন নেই, সামান্য কয়েকটি নিয়ম মানলেই এবারের পুজোয় তাক লাগাতে পারবেন আপনিও। 


পুজোয় পছন্দের পোশাক পরতে না পারলেই শরীরের প্রতি টনক নড়ে। তাই তো শেষ মুহূর্তে মেদ ঝরাতে অনেকেই চেষ্টার খামতি রাখেন না। কেউ ভর্তি হন জিমে, কারওর ডায়েটে বাদ যায় পছন্দের খাবার। এককথায় পুজোর আগে ছিপছিপে হওয়ার জন্য সব কষ্ট হাসিমুখে সহ্য করা যায়। কিন্তু তাতেও যে সবসময়ে লাভ হবে এমনটা নয়, আবার শর্টকাট পন্থায় ওজন কমালে শরীরের বারোটা বাজার ঝুঁকি থাকে। বরং নিয়ম করে মেনে চলুন কয়েকটি টিপস। 

* যে কোনও ডিটক্স পানীয় হজমে সাহায্য করে, শরীরে মেটাবলিজম বাড়ায়। নিয়মিত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে নানা রকমের স্বাস্থ্যকর পানীয় রোজনামচায় রাখুন। কখনও এক গ্লাস জলে লেবু, পুদিনা পাতা, শশার টুকরো ভিজিয়ে রেখে ডিটক্স ওয়াটার তৈরি করে নিন। আবার ঈষদুষ্ণ জলে লেবু, মধু দিয়েও পান করতে পারেন। সকালে এক গ্লাস জলের সঙ্গে এক চিমটে ‘পিঙ্ক সল্ট’ মিশিয়েও খাওয়া ভাল। এই সব পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে। একদিন অন্তর ডাবের জল খেলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে। 

* পুজোর আগে কয়েকদিন খাদ্যতালিকায় কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে প্রোটিন, ফাইবারের পরিমাণ বাড়ান। রিফাইন্ড ময়দা জাতীয় খাবার, বাইরের যে কোনও জাঙ্ক ফুড থেকে দূরে থাকুন।

*  পর্যাপ্ত ঘুম না হলে ছিপছিপে চেহারা পাওয়ার সব চেষ্টাই বৃথা হবে। ওজনের সঙ্গে বাড়বে ক্লান্তিও। প্রতিদিন অন্ততপক্ষে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান। রাতে শুতে যাওয়ার আগে ফোন,টিভি, ল্যাপটপের স্ক্রিন থেকে দূরে থাকুন।

* সঠিক ডায়েটের সঙ্গে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। ওজন কমানোর জন্য যে জিমে যেতেই হবে, এমনটা নয়। বাড়িতেই শরীরচর্চা করতে পারেন। এখন ইউটিউবে অথবা ইনস্টাগ্রামে পেয়ে যাবেন ওজন কমানোর হরেক ভিডিও। তবে একেবারে অভ্যাস না থাকলে প্রথমেই খুব বেশি পরিশ্রমের ব্যায়াম করতে যাবেন না। ওয়ার্কআউটের সঙ্গে অল্প হাঁটুন, নিজেকে সক্রিয় রাখুন।