আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রকৃতির নিয়মে বার্ধক্য একদিন আসবেই। সময়ের আগে এলে তা মোটেই সুখকর নয়। বেশ কয়েক বছর আগেও, কম বয়সে ত্বকের বুড়িয়ে যাওয়ার মতো সমস্যা খুব একটা দেখা যেত না। কিন্তু আজকাল বয়স ৩০-এর কোটা পেরোতে না পেরোতেই চেহারায় পড়ছে বার্ধক্যের ছাপ, সঙ্গে জেল্লা হারাচ্ছে ত্বক। যার জন্য নামীদামি প্রসাধনীর উপর ভরসা রাখেন অনেকে। কিন্তু জানেন কি রোজকার ত্বকের পরিচর্যায় কিছু ভুলেই বড় ক্ষতি হতে পারে। যা সময় থাকতে সচেতন না হলে বাড়তে পারে সমস্যা।

অনেকেই তৈলাক্ত ত্বকে ময়শ্চারাইজার লাগান না। কিন্তু এই অভ্যাস একেবারেই ঠিক নয়৷ ত্বক যে ধরনেরই হোক না কেন, ময়শ্চারাইজ করা জরুরি। বরং ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করুন। 

ব্রণর সমস্যা থাকলে অনেকেই বার বার মুখ ধুয়ে নেন। আর মুখ ধোয়ার পর ঠিক মতো টোনিং, ময়শ্চারাইজিং করেন না। ফলে ত্বকের সমস্যা বাড়ে। সারা দিনে দু'বার ক্লিনজিং করাই যথেষ্ট।

যে কোনও ফেস মাস্ক ব্যবহারের একটি নির্দিষ্ট সময় রয়েছে। বিশেষ করে শুকিয়ে যাওয়ার পর কোনও ফেস মাস্কই লাগিয়ে রাখা উচিত নয়। বাজার চলতি ফেসমাস্ক ব্যবহার করলে সেই প্যাকেটে লেখা ব্যবহারের পদ্ধতি পড়ে নিন। সাধারণত ১৫-২০ মিনিটের বেশি কোনও মাস্ক লাগিয়ে রাখা উচিত নয়। 

ডাবল ক্লিনজিং বরাবরই ট্রেন্ডিং। বিশেষ করে রাতে ডাবল ক্লিনজিং করলে ভাল ফল পাওয়া যায়। এতে সারাদিনের জমে থাকা ময়লা, মেকআপ ভিতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যায়। প্রথমে অয়েল বেসড ক্লিনজার এবং পরে ওয়াটার বেসড ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুতে পারেন। 

ক্লিনজিংয়ের পর টোনিং করাও খুবই জরুরি। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখার জন্য টোনিং করতে হয়। এতে ত্বকে পিএইচ ভারসাম্য বজায় থাকে। তুলো দিয়ে ত্বক অনুযায়ী টোনার ব্যবহার করুন। গোলাপ জলও ব্যবহার করতে পারেন।