আজকাল ওয়েবডেস্ক: শরীরের অপরিহার্য পুষ্টি উপাদান প্রোটিন। পেশি শক্তিশালী করা থেকে ওজন নিয়ন্ত্রণ, সার্বিক সুস্থতার জন্য প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন খেলে দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি থাকে, বারে বারে খাওয়ার প্রবণতাও কমে যায়।তাই রোজের খাদ্যতালিকায় প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার রাখা প্রয়োজন।
হিসেব অনুযায়ী, একজন সুস্থ ও স্বাভাবিক ওজনের প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের রোজ ৫০-৬০ গ্রাম প্রোটিন খাওয়া উচিত। অন্যদিকে, মহিলাদের প্রোটিন খেতে হবে ৭০-৮০ গ্রাম। যদিও দৈনিক কতটা প্রোটিন খাওয়া উচিত তা নির্ভর করে কোনও ব্যক্তির ওজন, উচ্চতা, শারীরিক পরিস্থিতি, বয়সের উপর। কারণ নিয়ম না মেনে প্রোটিন খেলে একাধিক জটিল শারীরিক সমস্যা হতে পারে। আপনি অতিরিক্ত প্রোটিন খাচ্ছেন কিনা তা কয়েকটি লক্ষণ দেখে বুঝে নিন।
১. ডিহাইড্রেশন- অতিরিক্ত প্রোটিন খেলে কিডনির প্রোটিন বিপাকের বর্জ্যপদার্থগুলো বের করতে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। ফলে শরীরে জলশূন্যতা দেখা দিতে পারে। এক্ষেত্রে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তৃষ্ণার্ত বোধ করতে পারেন কিংবা গাঢ় প্রস্রাব হতে পারে।
২. হজমের সমস্যাঃ প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে অনেক সময়ে খাদ্যতালিকায় ফাইবার কমে যায়।, যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য, পেট ফাঁপা এবং অস্বস্তি হতে পারে। শরীরে পুষ্টির সঠিক ভারসাম্য না থাকলে অন্ত্রের স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়ে।
৩. মুখের দুর্গন্ধঃ ডায়েটে খুব বেশি প্রোটিন, কম কার্বোহাইড্রেটযুক্ত খাবার আপনার শরীরকে কিটোসিস অবস্থায় নিয়ে যেতে পারে। যার ফলে মুখে দুর্গন্ধ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
৪. ওজন বৃদ্ধিঃ যদিও প্রোটিন ওজন কমানোর সঙ্গে সম্পর্কিত। কিন্তু অত্যধিক পরিমাণ প্রোটিন খেলে তা ওজন বাড়িয়েও দিতে পারে। আসলে অতিরিক্ত প্রোটিন যদি শরীরের শক্তি বা কার্যকারিতার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রয়োজন না হয় তবে তা ফ্যাট হিসাবে জমা হয়।
৫. কিডনির উপর চাপঃ ক্রমাগত বেশি প্রোটিনযুক্ত খাবার খেলে তা কিডনির উপর চাপ তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে যাদের আগে থেকে কিডনির সমস্যা রয়েছে তাঁদের পরিমিত প্রোটিন খাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে হাত, পা বা মুখ ফুলে যাওয়ার মতো লক্ষণগুলি প্রাথমিক সতর্কতার সংকেত হতে পারে।
