আজকাল ওয়েবডেস্কঃ অল্পেই ক্লান্তি থেকে আচমকা ওজন বেড়ে যাওয়া কিংবা চুল পড়া থেকে রুক্ষ ত্বকের সমস্যায় ভুগছেন? নেপথ্যে থাকতে পারে থাইরয়েড গ্রন্থির অতিসক্রিয়তা কিংবা নিষ্ক্রিয়তা। সাম্প্রতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, এই হরমোনের হেরফেরে পৃথিবীর অন্তত ১৫ শতাংশ মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত। বিশেষ করে মহিলাদের বেশি এই ক্রনিক রোগে আক্রান্ত হতে দেখা যায়। 

থাইরয়েড গ্রন্থি শরীরের বেশিরভাগ বিপাকীয় প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ সহ আরও নানা ধরনের কাজ করে। তাই থাইরয়েডের সমস্যা হলে শরীরে অন্যান্য জটিলতাও প্রকট হতে পারে। সেক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী. ওষুধের সঙ্গেই কয়েকটি ঘরোয়া আয়ুর্বেদিক টোটকায় ভরসা রাখতে পারেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি প্রাকৃতিকভাবে থাইরয়েড গ্রন্থির ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এমনকি নিয়মিত ব্যবহার করলে থাইরয়েড সমস্যা থেকে মুক্তিও দিতে পারে।

* আয়ুর্বেদের মতে, অশ্বগন্ধা একটি শক্তিশালী আয়ুর্বেদিক ভেষজ, যা শরীরে থাইরক্সিন হরমোনের ঘাটতি এবং অতিরিক্ত ক্ষরণ দু'ক্ষেত্রেই ভারসাম্য বজায় রাখে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত ৫০০ মিলিগ্রাম অশ্বগন্ধা সেবন করলে থাইরয়েডের সমস্যায় উপকার পাওয়া যায়। 

* পাচনতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে এবং শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে ত্রিফলা। রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ ঈষৎউষ্ণ গরম জলে ত্রিফলা খেলে থাইরয়েড নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।

* থাইরয়েডের জন্য আয়ুর্বেদের আরও একটি অব্যর্থ দাওয়াই হল ধনে ভেজানো জল৷ থাইরয়েড সমস্যায় এটি একটি খুব ভাল ঘরোয়া প্রতিকার। এক চামচ ধনে বীজ সারারাত জলে ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে ছেঁকে এই জল পান করুন। এটা একটানা ১৫ দিন খেলেই থাইরয়েডের সমস্যায় উপকার পাবেন। 

* নারকেল তেল বিপাক প্রক্রিয়া দ্রুত করে এবং থাইরয়েডের কার্যকারিতা ভাল রাখতে সাহায্য করে। সেক্ষেত্রে খাবারে নারকেল তেলের ব্যবহার থাইরয়েড সমস্যা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।

* থাইরয়েড গ্রন্থির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে আদা। থাইরয়েডের সমস্যায় আদা চা পান করলে ফল পাবেন।

* স্ট্রেস থাইরয়েড হরমোনের জন্য মোটেও ভাল নয়। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে আয়ুর্বেদে নিয়মিত যোগব্যায়াম এবং প্রাণায়াম করার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিশেষ করে সর্বাঙ্গাসন এবং মৎস্যাসনের মতো আসনগুলি থাইরয়েড গ্রন্থির উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। 

* থাইরয়েডের রোগীরা আয়োডিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন সামুদ্রিক খাবার, ডিম, সবুজ শাক-সবজি এবং তাজা ফল বেশি খান।