আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আধুনিক জীবনযাত্রায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ে হার্টের উপরে। হাজারো ব্যস্ততায় একান্ত নিজের হৃদয়ের স্বাস্থ্যের কথা আমরা ভুলে যাই।বাইরের খাবার খাওয়ার অভ্যাস, শরীরচর্চা না করা, তেল-মশলাদার খাবারের প্রতি অত্যধিক আকর্ষণ, মদ্যপান ও ধূমপানের অভ্যাস— হার্টের অসুখের জন্য এই কারণগুলিই যথেষ্ট।বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থ ‘হু’-র সমীক্ষা অনুযায়ী ,স্থূলতা, ডায়াবিটিস, কোলেস্টেরলের মতো ক্রনিক রোগের হাত ধরে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে হৃদ্‌রোগও। হৃদ্‌য়ের যত্ন নিতে একটু সচেতন হওয়া জরুরি। ব্যস্ততার কারণে অনেকেই নিজের যত্ন নিতে অবহেলা করেন। সুস্থ থাকতে হলে যত্নবান হতে হবে আপনার হার্টের প্রতি। খেয়াল রাখুন আপনার হৃদ্‌যন্ত্রের।

কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখলে হার্টকে অনেকটা সুস্থ রাখা যায়।কোলেস্টেরল যাতে না বা়ড়ে সেদিকে খেয়াল রাখুন। রেডমিট, তেল মশলা, মিষ্টি ও বাইরের খাবার কম খান। স্থূলতাকে নিয়ন্ত্রণে না রাখলে সরাসরি তার চাপ পড়ে হার্টে।

হার্ট অ্যাটাকের মতো বড় বিপদকে প্রতিহত করার জন্য কিছু ভাল অভ্যাস রপ্ত করতে পারলে এর কবল থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব। ডায়াবেটিস ও হাইপারটেনশন থাকলে তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে, প্রতিদিন নিয়ম করে ব্যয়াম ও হাঁটাচলা করা, লিপিড প্রোফাইলে কোনও সমস্যা থাকলে সেটা পরীক্ষা করে নেওয়া ও চিকিৎসা করা ভীষন জরুরী।কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড থাকলে ওষুধ নিয়ম করে খান।

মেডিটেশন ও মর্নিং ওয়াক এইক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।ধূমপান ও মদ্যপান সম্পূর্ণ বর্জন করলে ভাল। উল্লেখযোগ্য, মেয়েদের ক্ষেত্রে ৩৫ বছর বয়সের পর কন্ট্রাসেপটিভ পিল ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। মিউজিক থেরাপি ও স্বাস্থ্যকর স্থানে ভ্রমণ খুবই উপকারী হার্টের জন্য।

হার্ট সুস্থ রাখতে প্রাণায়ামের জুড়ি নেই। দ্রুত ও অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের যে মারাত্মক অসুখ আছে,যেই কারণে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে যেকোনও সময়, তার প্রকোপও কম থাকে নিয়মিত যোগা করলে।

স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি ও ব্লুবেরির মতো ফলে রয়েছে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের মতো উপাদান।তাই শরীরকে সুস্থ রাখার কাজে এই সব ফলের জুড়ি মেলা ভার। এই ধরনের ফলে অ্যান্থোসায়ানিন নামক একটি অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট পর্যাপ্ত পরিমাণে উপস্থিত থাকে যা কিনা হার্টের প্রদাহজনিত সমস্যাকে কম করে করে। ফলে হার্ট অ্যাটাকের খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা বহুগুণে কমবে।

মরসুমি শাকসব্জি ও ফল, স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন আপনার হৃদযন্ত্রকে সুস্থ ও স্বাভাবিক রাখে।