আজকাল ওয়েবডেস্কঃ তেল, শ্যাম্পু, সিরাম কিছুই বাদ যায়নি। তবু চুল পড়া বন্ধ হয়নি। তার উপর চুলের প্রধান শত্রু খুশকি। চুল ঠিক মতো পরিষ্কার করে না ধুলে কিংবা চুলে তেলময়লা জমলে খুশকি হতে পারে। শীতকালে ফাঙ্গাস সংক্রমণের উপদ্রব তো আছেই। চুল ও ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, এইসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ব্যবহার করতে পারেন বিশেষ ঘরোয়া টোটকা। এতে চুল যেমন পুষ্টি পাবে, তেমনই চুলের হারানো জেল্লাও ফিরে আসবে। খুশকি দূর হবে চিরতরে। 

এক চামচ মেথিকে আগেরদিন রাতে ভিজিয়ে রাখুন। পরেরদিন সকালে জল ছেঁকে মেথিকে বেটে বা ব্লেন্ড করে নিন। স্নানের আগে স্ক্যাল্পে ভাল করে মেখে নিন। আধঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। মেথিতে থাকা অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান স্ক্যাল্পে ইনফেকশন ও খুশকির সঙ্গে লড়াই করে। 

অ্যাপেল সাইডার ভিনিগার ও এক গ্লাস জল সমান পরিমাণে মিশিয়ে নিন। শ্যাম্পু করার পর সেই জল স্প্রে করে স্ক্যাল্পে লাগান। ১০ মিনিট পর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই ভিনিগার ত্বকের পি এইচ লেভেলকে বাড়িয়ে দেয়।

 ঈষৎ উষ্ণ নারকেল তেলের সঙ্গে দু'চামচ লেবুর রস দিয়ে মিশিয়ে নিন। মাথার স্ক্যাল্প থেকে সব জায়গায় ম্যাসাজ করুন। আধঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে চুল ধুয়ে ফেলুন। নারকেল তেল চুলকে আর্দ্রতা জোগায়। ডিপ কন্ডিশনার হিসেবেও কাজ করে। স্ক্যাল্পে আর্দ্রতা জোগায়, কমায় চুলকানির সমস্যাও। নারকেল তেলে থাকা ফ্যাটি অ্যাসিড ও ভিটামিন নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে। লেবুর রসে আছে সাইট্রিক অ্যাসিড। যা আপনার স্ক্যাল্পের রুক্ষভাব নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। খুশকি কমায়। এছাড়া আপনার স্ক্যাল্পের পিএইচ-এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতেও সাহায্য করে। এটির অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান স্ক্যাল্পে ক্ষতিকারক ফাঙ্গাসের বৃদ্ধি ধ্বংস করতে সাহায্য করে।

টকদই এর সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। সপ্তাহে অন্তত দু'দিন চুলে মেখে নিন। ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। শ্যাম্পু করার পরেই অনেকের চুল উসকো-খুসকো হয়ে যায়। শুষ্ক চুলের ক্ষেত্রেই সাধারণত এই ধরনের সমস্যা বেশি হয়। চুল নরম এবং কোমল রাখতে অনায়াসে ব্যবহার করতে পারেন টক দই। উপকার পাবেন। ভিটামিন বি, জিঙ্কের মতো উপাদান চুল লম্বা করতে সাহায্য করে।

নিমপাতাকে সেদ্ধ করে নিন। শ্যাম্পু করার পর সেদ্ধ করা জল দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। অথবা নিমপাতা বেটে চুলের সব জায়গায় মেখে নিন। আধঘন্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এই পাতার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল উপাদান, যা খুশকির সমস্যার সমাধান করে নিমেষে। নিমের ক্লিনজিং গুণ স্ক্যাল্প পরিষ্কার রাখতেও সিদ্ধহস্ত। অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান স্ক্যাল্পের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। অ্যান্টি-ফাঙ্গাল গুণ, যা স্ক্যাল্পে ছত্রাক সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রাখে, তাই খুশকিও নিধন হয় সহজে।