আজকাল ওয়েব ডেস্ক: গরমের দাপট কমে হালকা শীতের আমেজ পড়তে শুরু করেছে।সুর্য ডুবলেই একটা আরামদায়ক আবহাওয়া অনুভব হচ্ছে, ভোরের দিকে গায়ে একটু হালকা চাপা দিতে হচ্ছে।কিন্তু বেলা গড়াতেই অস্বস্তি শুরু। গুমোট গরম, ঘামে ভেজা জামায় নাজেহাল অবস্থা। ঠান্ডা পড়ার আগে আবহাওয়ার এই চরম খামখেয়ালিপনায় শরীর একেবারেই সঙ্গত দেয় না। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা, জ্বর বা পেটের সমস্যা, রোজের ঘটনা হয়ে যায়।শীতকালকে চুটিয়ে উপভোগ করার বদলে অসুস্থ হয়ে থাকতে কারোরই ভাল লাগে না।বিশেষ করে কো-মর্বিডিটি থাকলে এই মরসুমে বেশি সাবধানে থাকা জরুরি।যাতে হঠাৎই ঠান্ডা লেগে না যায়।তাই বাড়িতেই বানিয়ে নিন ইমিউনিটি বাড়ানোর এইসব অর্গ্যানিক চা।
তুলসী পাতা চা প্রায় প্রত্যেকটি বাড়িতেই বানানো হয়। শরীরের টক্সিনকে টেনে বের করে ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে তুলসী পাতা সিদ্ধহস্ত।এক কাপ জলে সাত আটটি তুলসী পাতা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিন।জল হাফ কাপ হলে কাপে ঢেলে সামান্য গোলমরিচগুঁড়ো ও হাফ চামচ মধু মিশিয়ে খান।
আদা ও হলুদ মিশ্রণের চা তৈরিতে যেমন সহজ, উপকারও প্রচুর।এক টুকরো আদা ও হাফ চামচ হলুদ জলে দিয়ে কম আঁচে ফোটান পাঁচ মিনিট।এক চামচ করে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে নিন।খালি পেটে খেলে বেশি উপকার মিলবে। হজমের গোলমালকে সারিয়ে তোলে, ইমিউনিটি বাড়ে এই পানীয়তে।একইভাবে গিলয় শাকের কান্ড আপনি জলে ফুটিয়ে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।রোগ প্রতিরোধে এই পানীয়টিও বেশ উপকারী।
আমলকী শীতের একটি অতি উপকারী ফল।রোজ এক গ্লাস জলে দুটো আমলকীর রস মিশিয়ে ও এক চামচ মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। সকালে খালি পেটে দিন শুরু করুন এই পানীয় দিয়ে।পেট পরিষ্কার থাকার পাশাপাশি ঠান্ডা লাগা বা শীতকালীন রোগ আপনাকে ছুঁতে পারবে না।
দারচিনির চা মেটাবোলিজমকে শক্তিশালী করে ইমিউনিটি বাড়ানোর কাজে সাহায্য করে।একটি দারচিনির কাঠি জলে ফুটিয়ে নিন। ছেঁকে মিষ্টি স্বাদের জন্য এক চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন।বিকেলবেলা খান এই পানীয়।
গলায় ইনফেকশন বা ব্যথা শীতের অন্যতম সমস্যা।মুলেঠির কান্ড জলে সেদ্ধ করে নিন। ছেঁকে এক চামচ মধু মিশিয়ে খান। ইমিউনিটি বেড়ে যায় এবং গলার অস্বস্তিও ঠিক করে।
কয়েকটি পুদিনা পাতা ও তুলসী পাতা জলে ফুটিয়ে নিন।মধু মিশিয়ে দুপুরের খাবার খেয়ে তারপর খান। পেটের সমস্যায় মোক্ষম দাওয়াই এই পানীয়। একইভাবে দারচিনি, এলাচ, তুলসী, আদা, গোটা গোলমরিচ ও লবঙ্গ জলে ফুটিয়ে নিয়ে ছেঁকে কাড়হা বানিয়ে খান। সকাল বা বিকেলে এই পানীয় খেলে শীতে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন।
