আজকাল ওয়েব ডেস্ক: অস্বাস্থ্যকর খাবার, দূষণ, ব্যায়াম না করার কারণে হরমোনের ভারসাম্যহীনতা দেখা দেয়। হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে খিটখিটে ভাব ও মেজাজের পরিবর্তনও দেখা যায় মহিলাদের মধ্যে। আজকের দিনে অস্বাস্থ্যকর জীবনধারার কারণে, ২০ থেকে ৩০ বছর বয়সী মহিলাদের মধ্যে মেজাজের পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। শুধুমাত্র হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে এই ধরনের সমস্যা ঘটে। ব্যস্ত জীবন ও পরিবর্তিত জীবনযাত্রার কারণে মহিলারা ডায়েট মেনে খাদ্যাভ্যাসের সঙ্গে সংযুক্ত হতে পারছেন না। দৈনন্দিন রুটিনও ব্যাহত হয় তাতে।
যদি হরমোনের ভারসাম্যহীনতা লক্ষ্য করা যায়, তাহলে টাকা ব্যয় করে ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন নেই, প্রাকৃতিকভাবে এই সমস্যা মেটানো সম্ভব। কয়েকটি খাবারই করতে পারে এই হরমোনের সমস্যার সমাধান।
শরীরের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা কমে গেলে ব্রকোলি, বেদানা, ফুলকপি, ফ্ল্যাক্সসিড ও গাজর খাওয়া ভীষন উপকারি।
শরীরে প্রোজেস্টেরন হরমোনকে সঠিক পরিমাণে রাখতে ক্যাপসিকাম, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, পালং শাক, অ্যাভোকাডো, কুমড়োর বীজ ও হলুদ খাওয়া ভীষন উপকারি।
কর্টিসল হরমোনের ঘাটতি পূরণ করতে স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি, ডার্ক চকোলেট, কলা, সিয়া সিড, গ্ৰিন টি দারুন কাজ দেয়।
থাইরয়েড হরমোনকে বশে রাখতে মুসুর ডাল, কুমড়োর বীজ ভীষন ভাল কাজ দেয়।
ওটস ও দই খান, তাতে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।
ঋতুচক্রের প্রথমার্ধে নারীদেহে ইস্ট্রোজেন ও দ্বিতীয়ার্ধে প্রজেস্টেরনের ক্ষরণ বাড়ে। ঋতুচক্রের প্রথমদিন তিসি ও কুমড়োর বীজ এবং দ্বিতীয়দিন খেতে পারেন সূর্যমুখী বীজ ও তিল। এতে দুই হরমোনই নিয়ন্ত্রণে থাকে।
অনেকেই এখন শরীর ভাল রাখতে বিভিন্ন ধরনের সাপ্লিমেন্ট খান। বিশেষ করে হরমোনের সমস্যায় ওমেগা-৩ সাপ্লিমেন্ট খাওয়ার চল এখন অনেকটাই বেড়েছে। এই ধরনের সাপ্লিমেন্ট খেলে ইপিএ ও ডিএইচএ-এর মতো উপাদানগুলির মাত্রা কতটা হওয়া উচিত, তা জেনে নিতে হবে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে।
পেট ভাল না থাকলে পুষ্টির সমস্যা হতে পারে। আর পুষ্টির সমস্যা থাকলে যা-ই খান না কেন, শরীরের উন্নতি হওয়ার আশা কম। পেট ভাল না থাকলে তার প্রভাব পড়ে হরমোনের ভারসাম্যের উপরেও। কাজেই তেল-মশলার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার দিকে নজর দেওয়াই বাঞ্ছনীয়।
