আজকাল ওয়েব ডেস্ক: ভাদ্র মাস মানেই গুমোট গরম। মাঝে মাঝে বৃষ্টি। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় মাঝে মাঝেই পেটের সমস্যায় ভুগছেন? সঙ্গে আবার রয়েছে পুজোর শপিংয়ের তোড়জোড়। ফলে শরীরে ডিহাইড্রেশনের আনাগোনা লেগেই থাকে। গ্যাস, অম্বল থেকে লিভারের নানান সমস্যাও হানা দেয়।
রোজকার খাদ্যতালিকায় এমন অনেক খাবার আছে যেগুলি থেকে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। আসলে গরমে শরীরে জলের প্রয়োজন বেশি হয়। কিন্তু সেদিকে খেয়াল না রাখলেই ডিহাইড্রেশনের শিকার হন অনেকেই। তাই সুস্থ থাকতে এই সময়ে খাদ্যাভাসে নজর দেওয়া জরুরি। তাহলে সুস্থতার জন্য কোন কোন খাবার ডায়েটে রাখা উচিত নয়, জেনে নিন।
এনার্জি ড্রিঙ্ক- জিমে শরীরচর্চা করার সময়ে অনেকে এনার্জি ড্রিঙ্ক পান করে থাকেন। তবে এই সব এনার্জি ড্রিঙ্ক থেকে শরীরে ডিহাইড্রেশন হতে পারে। এনার্জি ড্রিঙ্কে প্রচুর পরিমাণ চিনি থাকে যা শরীরে জলের পরিমাণ কমিয়ে দেয়। ফলে ডিহাইড্রেশন হয়।
কফি - অতিরিক্ত কফি পান করলে ডিহাইড্রেশন, মাথাব্যথা ও অন্যান্য সমস্যা হতে পারে। ভ্যাপসা গরমে কফি তো বটেই, চা-ও সীমিত খাওয়া উচিত। সেক্ষেত্রে গ্রিন টি, হার্বাল চা খেতে পারেন।
লবণাক্ত খাবার - উচ্চমাত্রার সোডিয়ামযুক্ত খাবার খেলে শরীরে জলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। আসলে নুন শরীর থেকে জল শোষণ করে নেয়। তাই অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার ডায়েট খেতে বাদ দেওয়া উচিত।
উচ্চ মাত্রার প্রোটিনযুক্ত খাবার - ডিহাইড্রেশনের আরও একটি কারণ উচ্চমাত্রার প্রোটিনযুক্ত খাবার। ওজন কমাতে অনেকেই কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট বাদ দিয়ে শুধু প্রোটিনের উপর জোর দেন। কিন্তু ডিহাইড্রেশনের সমস্যা এড়াতে ডয়েটে কার্বোহাইড্রেট ও প্রোটিনের অনুপাতকে ঠিক রাখতে হবে।
লেবুর রস - রোগা হতে লেবুর রসের জল খান অনেকেই। লেবু রসের অনেক থাকলেও প্রতি দিন বেশি পরিমাণে লেবুর রস পান করলে প্রস্রাবের পরিমাণ বেড়ে যায়। ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
