আজকাল ওয়েবডেস্কঃ শীতকালে প্রথম পাতে বিভিন্ন ধরণের শাকের বাহার বাঙালি ছাড়াও প্রায় প্রত্যেকটি অন্য জাতির মানুষের মধ্যেও প্রচলিত। তার মধ্যে প্রথম সারিতেই রয়েছে সরষের শাক। শীতকালে জমি জুড়ে হলুদ সরষে শাকের সমারোহ প্রকৃতিকে যেন অপরুপ দৃশ্যে সাজিয়ে তোলে। সামান্য পাঁচ ফোড়ন দিয়ে ভাজাই হোক বা পাঞ্জাবি ‘সারসোন দা শাক’ এর বিশেষ স্টাইলেই খাওয়া হোক, এই শাকের স্বাদ আর গন্ধ একেবারেই আলাদা। রয়েছে বহু উপকারিতাও।
সরষে শাকে রয়েছে ভিটামিন কে। এই ভিটামিন হাড়কে করে মজবুত। ক্ষত বা আঘাতে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ থেকে এই ভিটামিন দেয় মুক্তি। এতে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিড্যান্ট, যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। মস্তিষ্ক সচল রাখতে আর দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখতে এই শাক জরুরি। এর পাশাপাশি রয়েছে ভিটামিন এ এবং সি। সরষে শাকে থাকা ভিটামিন সি, বিটা ক্যারোটিন,ফ্ল্যাভনয়েড উচ্চ পরিমাণে থাকায় এটি হার্ট ভালো রাখে। নিয়ন্ত্রণে রাখে কোলেস্টেরলের মাত্রাও। এছাড়াও কমায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা। ভালো রাখে চুল এবং ত্বক।
অ্যান্টি কার্সিনোজেনিক বৈশিষ্টযুক্ত শাক হল সরষে শাক। এছাড়াও এতে থাকা গ্লুকোসিনোলেটস নামক উদ্ভিজ যৌগের গ্রুপ বেশি থাকে। এটি স্বাস্থ্যকর কোষগুলিকে ডিএনএ সম্পর্কীয় ক্ষতি থেকে রক্ষা করে, দূরে রাখে ক্যান্সার। সরষে শাকে রয়েছে আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ, জিঙ্ক, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, প্রোটিন, ফাইবার। এতে রয়েছে লুটেইন ও জেক্সান্থিন, বলা হচ্ছে যা বয়সজনিক চোখের সমস্যায় দারুন কাজ দেয়। এছাড়াও শীতে এই শাক শরীর গরম রাখে এবং ভালো রাখে হজমের প্রক্রিয়া। ভিটামিন, মিনারেলস এবং ফাইবারে ভরপুর সরষে শাক খেলে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে৷ মধুমেহ রোগীরা এই শাক খেতে ভুলবেন না৷
