আজকাল ওয়েব ডেস্ক: কমবয়সীদের মধ্যে দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ছে তামাকের নেশা। যা অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। বয়সের ছেলে-মেয়ে, বিশেষ করে শিশুদের এই মাদকের ভয়াল থাবা থেকে বর্তমান প্রজন্মকে রক্ষা করা এখন সমাজের লক্ষ্য হওয়া উচিত। বিভিন্ন ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস‍্যা তৈরি হতে হচ্ছে এই নেশা থেকে।

অল্প বয়সে তামাক ব্যবহার হৃদরোগ এবং স্ট্রোককে ডেকে আনে। যা ধমনীতে প্লাক জমে অ্যাথেরোস্ক্লেরোসিসের কারণে হয়।

ধূমপান যে ক্যানসারের অন্যতম কারণ তা অনেকেরই জানা। অল্প বয়সে ধূমপান শুরু করলে শরীরে কার্সিনোজেনের প্রভাব বেড়ে যায়।

যারা কৈশোরেই ধূমপান শুরু করে দেয় তাদের মধ্যে ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। তাছাড়া 

নিকোটিন সাময়িক শান্তি দিতে পারলেও এর প্রতি নির্ভরতা সময়ের সাথে সাথে উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা বাড়িয়ে দিতে পারে।বর্তমানে এমন অনেক মাদক বেরিয়েছে, যা সেবন করলে সাধারণ মানুষ তা বুঝতেই পারবেন না। সাধারণ মাদকের মতো তাতে কোনও গন্ধ নেই। এমন মাদকের খপ্পরে পড়ে যাচ্ছে স্কুলপড়ুয়ারাও। তাদের মা-বাবারা বুঝতেও পারছেন না যে, ছেলে বা মেয়ে মাদকের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে। তাই অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে। ছেলেমেয়েদের সঙ্গে মিশতে হবে। তাদের মধ্যে কোনও আচরণগত পরিবর্তন দেখলে তাদের সঙ্গে বন্ধুর মতো কথা বলতে হবে।

 

নিকোটিন মস্তিষ্কের বিকাশকে প্রভাবিত করে। এর জেরে মনোযোগ, স্মৃতি ধরে রাখা এবং জ্ঞান অর্জনে বিঘ্ন ঘটাতে পারে। নতুন কিছু আবিষ্কার বা ভাল ভাবনা টিনএজারদের মধ্যে আসতে পারে না। 

তামাক ব‍্যবহারের ফলে কোনও শারীরিক সমস‍্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের দ্বারস্থ হওয়া প্রয়োজন। ছোট থেকেই তামাক‍ের কুপ্রভাব সম্পর্কে শিশুদের বোঝাতে হবে। তবে নিকোটিনের নেশা চূড়ান্ত পর্যায়ে চলে যেতে পারে। কারণ কিশোরদের মস্তিষ্ক আসক্তির প্রতি বেশি সংবেদনশীল। কম বয়সেই এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি অভ্যাসে পরিণত হতে পারে যা ভাঙা কঠিন হয়ে যায়।তরুণ ধূমপায়ীদের মধ‍্যে আচরণগত সমস‍্যাও তৈরি হয়।