আজকাল ওয়েবডেস্ক: মধ্য বৈশাখ, একশো বছর আগেও এই সময় বাঙালির পোশাক বলতে ছিল, ধুতি আর ফতুয়া। আজ অবশ্য সেসব পোশাকের দিন গিয়েছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের আবহাওয়া তো বদলে যায়নি। এখনও গ্রীষ্মকাল একই রকম গরম এবং আর্দ্র। তাই এই সময়ে আরামদায়ক এবং স্বস্তিদায়ক পোশাক নির্বাচন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
১. সুতির পোশাক: সুতি কাপড় যেমন হালকা এবং তেমনই বাতাস চলাচল করতে সাহায্য করে। মহিলা এই সময় সুতির সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি, শার্ট, ফতুয়া, স্কার্ট কিংবা ম্যাক্সি জাতীয় পোশাক পরতে পারেন। এই ধরনের পোশাক শরীরকে ঠান্ডা রাখে এবং ঘাম দ্রুত উবে যেতে সাহায্য করে।
২. লিনেন পোশাক: লিনেন একটি প্রাকৃতিক ফাইবার যার মধ্যে দিয়ে সুতির চেয়েও বেশি ভাল হাওয়া চলাচল করতে পারে। ফলে ঘাম দ্রুত শুকিয়ে যায়। লিনেন শার্ট, প্যান্ট, এবং কুর্তি গরমের জন্য খুবই আরামদায়ক।
৩. খাদি পোশাক: খাদি হাতে কাটা এবং বোনা কাপড়, যা ভারতের ঐতিহ্যের সঙ্গে সম্পৃক্ত। বিশেষ করে ছেলেদের জন্য গরমে খাদির কুর্তি, শার্ট খুবই আরামদায়ক।
৪. হালকা রঙের পোশাক: সাদা, হালকা নীল, হালকা সবুজ, গোলাপি, হলুদ ইত্যাদি রং সূর্যের তাপ কম শোষণ করে। এবং অধিকাংশ আলোকরশ্মি প্রতিফলিত করে দেয়। তাই গরমে এই ধরনের রঙের পোশাক পরলে ঠান্ডা অনুভূতি হয়।
৫. ঢিলেঢালা অন্তর্বাস: গরমে আঁটসাঁট অন্তর্বাসের পরিবর্তে ঢিলেঢালা পোশাক পরাই শ্রেয়। গরমে স্বাভাবিক ভাবেই গোপনাঙ্গ এবং সংলগ্ন অঞ্চলে বেশি ঘাম হয়। অতিরিক্ত আঁটসাঁট পোশাকে বাতাস চলাচল করতে অসুবিধা হয় এবং ঘাম হয়। এর ফলে জীবাণুর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। তাই ঢিলেঢালা অন্তর্বাস এই ধরনের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।