কথায় বলে 'গোলাপের পাপড়ির মতো ঠোঁট'। এমন প্রশংসা শুনতে কার না ভাল লাগে! কিন্তু যতই খুশি হন, নিজের ঠোঁটের রঙ দেখে ফের বাস্তবে ফিরে আসতে হয়। পছন্দের রঙের লিপস্টিক পড়েও ঠোঁটের কালো দাগ ঢাকতে পারেন না? আসলে মুখের ত্বকের যত্ন নিয়ে সবাই চিন্তিত হলেও ঠোঁট সবসময়ই অবহেলিত। অতিরিক্ত ধূমপানের কিংবা চা-কফি পানের অভ্যাসেও ঠোঁটে হতে পারে কালচে দাগ। তাই ঠোঁট ভাল রাখতে যত্নের দরকার। 

শীত হোক বা গ্রীষ্ম, ঠোঁটের যত্ন নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। অনেক সময় দেখা যায় ঠোঁট শুষ্ক হয়ে ফেটে যায় বা কালচে হয়ে যায়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে দামি লিপবাম বা রাসায়নিকযুক্ত প্রোডাক্টের প্রয়োজন নেই। সামান্য কিছু ঘরোয়া উপায়েই ঠোঁটকে গোলাপি, নরম উজ্জ্বল করে তুলতে পারবেন। কয়েকটি সহজ ধাপ নিয়মিত মেনে চললে কয়েক দিনের মধ্যেই পার্থক্য চোখে পড়বে।

আরও পড়ুনঃ মহিলাদের শরীরে গোপনে শুরু হয় বন্ধ্যাত্ব! কোন কোন লক্ষণ উপেক্ষা করলেই বাড়বে গর্ভধারণের জটিলতা

  • নিয়মিত এক্সফোলিয়েশনঃ ঠোঁটে জমে থাকা মৃত কোষ দূর করা খুব জরুরি। যার জন্য এক চামচ চিনি ও মধু মিশিয়ে ঠোঁটে হালকা করে মালিশ করুন। সপ্তাহে ২–৩ বার এই স্ক্রাব ব্যবহার করলে ঠোঁট মসৃণ হবে।
  • পর্যাপ্ত ময়েশ্চারাইজিংঃ ঠোঁট শুষ্ক হয়ে দ্রুত কালচে হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে ঘুমানোর আগে ঘি, নারকেল তেল বা বাদাম তেল লাগান। সকালে ঠোঁট থাকবে নরম ও উজ্জ্বল।
  • হাইড্রেশনঃ শরীরে পর্যাপ্ত জল না থাকলে ঠোঁটও শুকিয়ে যায়। প্রতিদিন অন্তত ৮ গ্লাস জল পান করুন।তরমুজ, শসার মতো জলযুক্ত ফল খান।
  • প্রাকৃতিক লিপমাস্কঃ মধু, গোলাপজল ও দই মিশিয়ে লিপমাস্ক তৈরি করুন। ঠোঁটে লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন।এতে ঠোঁট পাবে প্রাকৃতিক গোলাপি আভা।
  • ক্ষতিকর অভ্যাস এড়ানঃ ধূমপান, অতিরিক্ত ক্যাফেইন ও মেকআপ প্রোডাক্টে থাকা রাসায়নিক ঠোঁটের রং নষ্ট করে। সূর্যের রোদে বের হলে এসপিএফ যুক্ত লিপবাম ব্যবহার করুন।

এছাড়া গোলাপের পাপড়ি দিয়ে ঘরোয়া লিপবাম তৈরি করতে পারেন। যার জন্য পাঁচটি গোলাপ ফুলের পাপড়িকে ছিঁড়ে জলে ১০ মিনিট ভিজিয়ে রাখুন। পরিষ্কার হয়ে গেলে দেড় কাপ জল দিয়ে প্যানে পাঁপড়িগুলোকে ঢাকা দিয়ে পাঁচ মিনিট ফোটান। ঠান্ডা হলে জল ছেঁকে নিন। এই জলে এক চামচ মধু ও নারকেল তেল দিন। সঙ্গে এক চামচ ভেসলিন দিয়ে খুব ভাল করে মেশান। একটি ছোট কাঁচের পাত্রে এই ঘরোয়া লিপ বামটি ভরে রাখুন।