ব্রহ্ম কুমারীদের আধ্যাত্মিক আন্দোলনের প্রচারক ব্রহ্ম কুমারী শিবানি। মোটিভেশনাল স্পিকার হিসেবেও তিনি বিখ্যাত। স্বাস্থ্য ও মানসিক শান্তি নিয়ে বিশ্বজুড়ে বহু মানুষের অনুপ্রেরণা সিস্টার শিবানি সম্প্রতি একটি আশ্চর্য সহজ অভ্যাসের কথা জানিয়েছেন, যা করতে মাত্র ৫ সেকেন্ড সময় লাগে। তাঁর মতে, জল পান করার আগের এই ছোট্ট বিরতিই সারাদিনের মানসিক স্থিরতা, ইতিবাচকতা ও কর্মশক্তিকে বদলে দিতে পারে। সিস্টার শিবানীর এই ‘৫-সেকেন্ড নিয়ম’ এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল, কারণ এটি খুব সহজ, বিনা পরিশ্রমে করা যায় এবং এর প্রভাব বহু মানুষের দৈনন্দিন জীবনকে ইতিবাচকভাবে বদলে দিচ্ছে।
কী এই ৫-সেকেন্ড নিয়ম? সিস্টার শিবানীর বক্তব্য অনুযায়ী, গ্লাস হাতে নেওয়ার পরই জল পান না করে মাত্র পাঁচ সেকেন্ড থামতে হবে। এই বিরতির সময় আপনি মনে মনে বলতে পারেন, 'আমি শান্ত', 'আমি শক্তিশালী', 'আমি সুস্থ', 'ধন্যবাদ জল'- এমন কোনও ইতিবাচক অভিপ্রায় বা কৃতজ্ঞতার বাক্য। তিনি জানান, এই ছোট্ট মানসিক প্রস্তুতিই আমাদের মস্তিষ্ককে অটো-পাইলট মোড থেকে বের করে এনে মনকে বর্তমান মুহূর্তের সঙ্গে সংযুক্ত করে। এর ফলে শুধু পান করার অভিজ্ঞতাই নয়, পুরো দিনের মানসিক ভারসাম্য ভাল থাকে।
কেন এই অভ্যাসকে এত গুরুত্ব দিচ্ছেন সিস্টার শিবানী?সিস্টার শিবানীর মতে, জল মানুষের শরীর ও মনের ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। জল খাওয়ার আগে এই এই বিরতি মনকে স্থির করে। দিনের হাই-স্পিড জীবনে একটু থামা মানসিক অস্থিরতা কমায়।ইতিবাচক অভিপ্রায় শরীরের শক্তি-ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে।তিনি বলেন, “আপনি যে অভিপ্রায় নিয়ে জল পান করবেন, তা আপনার এনার্জিকে প্রভাবিত করবে।” এছাড়াও দিনের বাকি সময় শান্ত ও মনোযোগী থাকা সহজ হয়। অনেকেই জানিয়েছেন, এই সহজ অনুশীলন সকালে শুরু করলে সারাদিন শান্ত থাকতে সুবিধা হয়।
বিজ্ঞান কি এই বিষয়টি সমর্থন করছে? মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এই অভ্যাসটি মূলত একটি ‘মাইন্ডফুলনেস পজ’ যেখানে মানুষ স্বয়ংক্রিয় আচরণ থামিয়ে সচেতনভাবে কাজটি করে। এতে স্ট্রেস কমে, মন পরিষ্কার থাকে এবং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতাও বাড়ে। জল পানের আগে এই মুহূর্তটিকে যদি ‘ইতিবাচক চিন্তা’ বা ‘অ্যাফরমেশন’-এর সঙ্গে যুক্ত করা যায়, তাহলে তা মস্তিষ্ককে একধরনের রিসেটের মতো কাজ করে।
কীভাবে এই অভ্যাস রপ্ত করবেন
*গ্লাস হাতে নিন।
*জল পান করার আগেই ৫ সেকেন্ড থামুন।
*মনের মধ্যে ইতিবাচক কিছু বলুন, 'আমি শান্ত', 'আমি ভাল আছি', 'ধন্যবাদ জল।'
*তারপর ধীরে ধীরে জল পান করুন।
তাহলে আপনিও চাইলে এই নিয়ম অনুসরণ করে দেখতেই পারেন। মাত্র পাঁচ সেকেন্ডেই হয়তো বদলে যেতে পারে আপনার পুরো দিন!
