আজকাল ওয়েবডেস্ক: সম্প্রতি ইউরোপ জুড়ে একটি রূপচর্চার পদ্ধতি বেশ ভাইরাল হয়েছে। তরুণীরা ভাতের মাড় মুখে মাখছেন। বিষয়টি বিদেশিনীদের কাছে নতুন হলেও পশ্চিমবঙ্গে কিন্তু মোটেই নতুন নয়। এখানে ভাতের মাড় বা ফ্যান যুগ যুগ ধরে রূপচর্চায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। এটি সাধারণত ত্বকের জন্য বেশ উপকারী বলেই মনে করা হয়, তবে সবকিছুর মতো এটিরও কিছু ব্যবহারের নিয়ম এবং সতর্কতা রয়েছে।
ভাতের মাড় ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, এবং ফেরুলিক অ্যাসিডের মতো উপাদানে সমৃদ্ধ, যা ত্বকের জন্য উপকারী। এই উপাদানগুলি ত্বক উজ্জ্বল করে, ত্বকের প্রদাহ কমায়, ত্বকের ছিদ্র সংকুচিত করতে সাহায্য করে। এবং রোদে পোড়া ভাব কমাতে সাহায্য করে।
কীভাবে ব্যবহার করবেন?
* প্রথম পদ্ধতি (চাল ধোয়া জল): আধ কাপ চাল ভাল করে ধুয়ে নিন। প্রথমবার ধোয়ার জল ফেলে দিন। দ্বিতীয়বার অল্প জলে চাল ভিজিয়ে রাখুন ১৫-২০ মিনিট। এরপর চালটা আলতো করে কচলে নিয়ে সেই জলটা ছেঁকে নিন। এটাই আপনার টোনার বা হালকা ফেসপ্যাক হিসেবে ব্যবহারযোগ্য মাড়।
* দ্বিতীয় পদ্ধতি (রান্না করা ভাতের মাড়): ভাত রান্না করার সময় যখন চাল ফুটে উঠবে এবং জল ঘন হয়ে আসবে, তখন সেই মাড় বা ফ্যান সাবধানে একটি পরিষ্কার পাত্রে ছেঁকে নিন। এই মাড় ঠান্ডা করে ব্যবহার করুন।
প্রথমে চাল ধোয়া পাতলা মাড় তুলোয় ভিজিয়ে মুখে এবং গলায় আলতো করে লাগান। শুকিয়ে গেলে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
রান্না করা ভাতের ঘন মাড় ঠান্ডা করে মুখে ও গলায় সমানভাবে লাগান। ১৫-২০ মিনিট বা সম্পূর্ণ শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন।
প্যাক শুকিয়ে গেলে হালকা গরম বা সাধারণ তাপমাত্রার জল দিয়ে আলতো করে মালিশ করে ধুয়ে ফেলুন।
মুখ ধোয়ার পর আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী উপযুক্ত ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
সতর্কতা
কিছু চালে কীটনাশক বা রাসায়নিক থাকতে পারে। অর্গানিক বা ভালভাবে ধোয়া চালের মাড় ব্যবহার করা নিরাপদ। তৈরি করা ভাতের মাড় ফ্রিজে রাখুন। ২-৩ দিনের বেশি ব্যবহার করবেন না, কারণ এটি দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
