আজকাল ওয়েবডেস্কঃ ভাত রান্না করার আগে প্রায় আধ ঘণ্টা অনেকেই চাল ভিজিয়ে রাখেন। তারপর সেই জল ফেলে দিয়ে আরও বার কয়েক ধুয়ে হাঁড়ির ফুটন্ত জলে চাল দেন। এতেই চালের মধ্যে থাকা বেশ কিছু উপাদান জলের সঙ্গে বেরিয়ে যায়। আর এই চাল ধোয়া জলেরই প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। ত্বক, চুলের যত্ব থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যের জন্যও জাল ভেজানো জলের জুড়ি মেলা ভার।
• ত্বকের যত্নে- জাল ভেজানো জল ত্বকের জন্য খুব উপকারী। নানা রকম ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের গুণে ভরপুর জাল ভেজানো জলের সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে ব্যবহার করলেই নজরে আসবে ত্বকের জেল্লা। জাল ধোয়া জলে ব্রণর দাগ, মেচেতা, বলিরেখা সহ ত্বকের নানান সমস্যা নির্মূল হয়। রাতে মুখ পরিষ্কার করে টোনার হিসেবেও চাল ধোয়া জল স্প্রে করে নিতে পারেন। ত্বককে ময়েশ্চারাইজড করতে সাহায্য করে এই জল।
• চুলের পরিচর্যা- এক কাপ চাল ভাল করে ধুয়ে একটি বড় পাত্রে সেই চাল ঢেলে দিন। এর সঙ্গে চার কাপ জল মিশিয়ে অন্তত ৩০ মিনিট ঢাকা দিয়ে রেখে দিন। এবার চাল টিপে দেখুন যে আগের থেকে একটু নরম হয়েছে কিনা। প্রয়োজনে আরও ১০ মিনিট রেখে দিতে পারেন। তারপর চাল থেকে জল ছেঁকে নিয়ে একটি কাচের শিশিতে ঢেলে ফ্রিজে রেখে দিন। অন্তত ৩ দিন রাখতে হবে। এরপর ওই চাল থেকে একটু টক গন্ধ বেরলে তা আপনি চুলে ব্যবহার করতে পারেন। এইভাবে চাল ধোয়া জল নিয়মিত ব্যবহার করলে দ্রুত চুল লম্বা হয়। নতুন চুলও গজায়। বজায় থাকে চুলের জেল্লা।
• ওজন নিয়ন্ত্রণে-ওজন কমাতে শরীরচর্চা, ডায়েট কোনও কিছু করেও লাভ হচ্ছে না? তাহলে একবার চাল ধোয়া জল খেয়ে দেখুন তো! কারণ এই পানীয়তে ক্যালোরি নেই বললেই চলে। এতে যেমন হজম ভাল হয়, তেমনই মেদও ঝরে তাড়াতাড়ি।
• হজমে সহায়ক- চালের মতো চাল ভেজানো জলের মধ্যেও স্টার্চ থাকে। যা খেলে হজম সংক্রান্ত সমস্যা, পেটের গোলমাল কিংবা ডায়রিয়া হলে উপকার পাওয়া যায়। পেটের কোনও সমস্যায় এক গ্লাস চাল ধোয়া জল খেতে পারেন।
• গাছের পরিচর্যা- চালের জল গাছের পরিচর্যাতেও ব্যবহার করতে পারেন। এতে রয়েছে ভিটামিন বি। যা শুধু উদ্ভিদের বৃদ্ধি বাড়ায় না, এতে মাটিতে গুরুত্বপূর্ণ ছত্রাকও বাড়ে।
