আজকাল ওয়েবডেস্কঃ মন ভরে বাটার খেলেও ওজন বাড়বে না। এমনটা শুধুমাত্র পিনাট বাটারের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। ব্রেকফাস্ট হবে সুস্বাদু কিন্তু ওজনকে বশে রাখবে, বাটার হিসেবে পিনাট বাটার সেইদিকে অনেক এগিয়ে। শুধু বাঙালি নয়, অন্যান্য যে কোনও জায়গার স্বাস্থ্যসচেতন মানুষের খাদ্য তালিকায় সসম্মানে জায়গা করে নিয়েছে পিনাট বাটার। বাটারের ক্রিমের সঙ্গে বাদামের স্বাদ মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। যত ইচ্ছে খাওয়া যায় অথচ ওজন বাড়ে না। স্বাদ ও উপকারের এই গুণেই পিনাট বাটারের দিকে ঝুঁকেছেন খাদ্যরসিক বাঙালি। বাইরের প্রিজারভেটিভ পিনাট বাটারে কিছু রাসায়নিকের ব্যবহার এর গুনগত মানকে নষ্ট করে। তাই সকলের স্বাদ ও স্বাস্থের কথা মাথায় রেখে বিশিষ্ট শেফ পঙ্কজ ভাদৌরিয়া তার একান্ত নিজের ঘরোয়া উপায়ে তৈরি পিনাট বাটারের রেসিপি শেয়ার করেছেন। জেনে নিন কীভাবে বানাবেন এই খাবার।
প্রায় দু'কাপ পরিমাণে কাঠবাদাম প্যানে শুকনো খোলায় ভেজে নিন। বাদাম হালকা কালো ভাব ও ভাজা হয়ে গেলে নামিয়ে ঠাণ্ডা করতে দিন। একটি পরিষ্কার কাপড়ে ভাজা বাদামগুলো রগড়ে সহজেই খোসা ছাড়িয়ে নিন। ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে বাদাম গুঁড়ো করে নিন। প্রথমে গুঁড়ো আকারে হলেও বেশ কয়েকবার ব্লেন্ড করলে এটি একটি পেষ্টের আকার নেবে। এর উপর ৪-৫টি খেজুর, এক চামচ মধু ও সামান্য নুন দিন। সঙ্গে এক চামচ পিনাট তেল দিন। পিনাট তেল না থাকলে দু'চামচ দেশি ঘি দিয়ে দিন। সম্পূর্ণ উপকরণগুলো আবার একবার ব্লেন্ড করে নিন। একটি ঘন ক্রিমের আকারে তৈরি হবে এই পিনাট বাটার। একে এয়ারটাইট কন্টেনারে ভরে রাখতে পারেন কমপক্ষে ১৫ দিন।
ওজন কমানোর পাশাপাশি মাংসপেশীর শক্তি বাড়াতে ও হৃদরোগ সারাতেও সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন, এনার্জি, ফাইবার ও কার্বোহাইড্রেট থাকে। পিনাট বাটার একটি কমপ্লিট মিলের মতো কাজ করে। এতে অসম্পৃক্ত চর্বির পরিমাণ বেশি। সেই কারণেই স্বাস্থ্যের উপকারি ফ্যাট হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এতে ফাস্ট ফুড খাওয়ার প্রবনতাও কমে যায়। আর তাতে যেমন হজমের সমস্যা থাকে না, তেমনই ওজনও বাড়ে না।
