আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ ফলের মধ্যে আঙুরের উপকারিতা বহুবিধ।সুস্বাদু এই ফল দিয়েই ওয়াইন, জেলি-জ্যাম ইত্যাদি তৈরি হয়।বিভিন্ন রান্নায়ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে এই ফল। আঙুর শুকিয়ে তৈরি হয় কিশমিসও।যে কোনও আঙুরেই থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন কে, সি, বি১, বি৬, এবং পটাশিয়াম ও ম্যাঙ্গানিজের মতো খনিজ উপাদান।
লাল আঙুরে থাকা অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট মস্তিষ্ক ভালো রাখে ও আলজ্যাইমারের মতো রোগের ঝুঁকি কমায়।বয়স বাড়লে প্রায় বেশিরভাগ মানুষের একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর মস্তিষ্কের কিছু সমস্যাজনিত কারণে ভুলে যাওয়ার রোগ হতে পারে। তাদের পারিবারিক ইতিহাস থাকলেও এমন হতে পারে। সুতরাং অল্প বয়স থেকেই স্মৃতি রক্ষায় ও মস্তিষ্কে রক্ত চলাচলকে স্বাভাবিক রাখতে চাইলে লাল আঙুরকে রোজ নিজের ডায়েটে রাখুন। উপকার মিলবে হাজারো। তাছাড়া লাল আঙুরে থাকা বিভিন্ন উপকারী অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট বেশ কয়েক ধরনের ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সক্ষম।
ভিটামিন কে, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম এবং পটাসিয়ামের মতো উপাদান মেলে লাল আঙুরে।এগুলো হাড়কে শক্তিশালী করে।
লাল আঙুরের বাইরের আবরণ ও বীজে রিসভারিট্রল নামের এক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে।এটি আমাদের ত্বক ও শরীরে বয়সের ছাপ পড়তে দেয় না।
ডায়বেটিকরাও নিশ্চিন্তে খেতে পারেন এই লাল ফল।কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সসহ এই ফল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো।কম গ্লাইসেমিকের মানে হলো ফলের মিষ্টতার পরিমাণ রক্তে সুগারকে বাড়তে দেয় না। শুধু ডায়বেটিস নয়, হার্টেরও বন্ধু এই আঙুর।লাল আঙুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট কার্ডিওভাসকুলার সিস্টেমকে সচল রাখতে সাহায্য করে। এই অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ফ্ল্যাভোনয়েড বা পলিফেনল নামে পরিচিত। রক্তনালীগুলোকে শিথিল করতে এবং প্রদাহ কমাতে পারে এরা।অ্যাসপিরিনের মতো প্লেটলেটের জমাট বাঁধার সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেয়।আঙুরের ত্বক এবং বীজে থাকে এই উপাদান।পাশাপাশি লাল আঙুরে প্রচুর পরিমাণে জল রয়েছে বলে শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে।ওজন কমাতে চাইলে লাল আঙ্গুরের রস পানের পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
