আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আমাদের আশপাশের বহু জিনিসেরই গুনাগুন সম্পর্কে আমরা ওয়াকিবহাল নই।তাই তাদের জায়গা হয় ডাস্টবিনে।এই অবহেলিত জিনিসগুলিই এক একটি মহৌষধি সেটা জানলে অবাক হতে হয়।এই তালিকায় আছে কুমড়োর বীজের নামও।এই বীজ অত্যন্ত উপকারী বলে বিভিন্ন গবেষণায় ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়েছে।কুমড়ো খেলেও তার বীজ রয়ে যায় ব্রাত্য। আর এখানেই যত সমস্যা।

কুমড়োর পাশাপাশি এর বীজও দারুণ উপকারী। এই বীজে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা শরীর সুস্থ রাখতে পারে। এই বীজে আছে কার্ব, প্রোটিন, ফাইবার, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, ম্যাগনেশিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন, ফোলেট ও রাইবোফ্লাভিনের মত উপাদান। যদিও স্বাস্থ্যসচেতন মানুষ যারা অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ তারা বড় শপিং মলের প্যাকেটজাত কুমড়ো বীজ দিয়ে নিজের ডায়েট প্ল্যান করেন।

কুমড়োর বীজে পর্যাপ্ত পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম রয়েছে যা বোন ডেনসিটি বৃদ্ধি করে।আর অপরদিকে দেখা গিয়েছে যে ম্যাগনেশিয়ামের অভাব হলে অস্টিওপোরোসিসের আক্রান্ত হাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে মহিলাদের মধ্যে। আর এতে একবার আক্রান্ত হলে সমস্যার শেষ থাকে না।তাই আজই কুমড়োর বীজকে নিজের ডায়েটে রাখুন।

কুমড়োর বীজে রয়েছে ভিটামিন ই এবং অন্যান্য অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। এই কারণে ইমিউনিটি কয়েকগুণ বৃদ্ধি পায় কুমড়োর বীজ খেলে।বিজ্ঞান বলছে, ইমিউনিটি বৃদ্ধি করা ছাড়াও ভিটামিন ই রক্তনালীকে পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। ফলে ব্লাড প্রেশার কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে থাকে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধিটাই প্রধান কাজ এর কাজ। ইমিউনিটি শক্তিশালী থাকলে আপনি সুস্থ থাকবেন। অনায়াসে বহু সংক্রামক অসুখ থেকে বাঁচে থাকতে পারবেন।

যাদের ক্রনিক ইনসমনিয়া আছে, অপর্যাপ্ত ঘুম থেকেই শরীরে বাসা বাঁধে নানা ধরনের রোগ।তারা এই সাধারণ বীজের উপর ভরসা রাখুন।আসলে কুমড়োর বীজে রয়েছে ট্রিপটোফ্যান। এই ট্রিপটোফ্যানে কিন্তু ক্রনিক ইনসোমনিয়া থেকে বাঁচাতে পারে।

প্রস্টেটের সমস্যায় এখন অনেকেই আক্রান্ত। এক্ষেত্রেও কুমড়োর বীজের উপর ভরসা রাখতে পারেন। কুমড়োর বীজে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা প্রস্টেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়।এতে থাকা জিঙ্ক পুরুষের শুক্রাণুর মান বৃদ্ধি করতে পারে। তাই এই বীজ পাতে রাখুন।

কুমড়োর বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, সালফার, জ়িঙ্ক, ভিটামিন এ, বি আর কে, যা চুল উজ্জ্বল ও ঘন করে তুলতেও সহায়তা করে।এতে রয়েছে কিউকারবিটিন নামক অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

কোনও বীজ খেয়ে যদি শরীরে কোনও ধরনের সমস্যা হয়, তা হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।আবার কোনও কিছুই অত্যধিক খাওয়া ভাল নয়। তাই ডায়েটে কোনও রকম বদল আনার আগে অবশ্যই পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিন।