আজকাল ওয়েবডেস্ক: সুখের সেদিন খুব দূরে নয়! তাও যে সে সুখ নয়, প্রিয়তম কিংবা প্রিয়তমার সঙ্গে মিলনের সুখ। তার জন্যই নাকি কর্মচারীদের ছুটি দিতে পারে বিভিন্ন সংস্থা। আশ্চর্য শোনালেও এমনই তথ্য উঠে এসেছে ওষুধ নির্মাতা সংস্থা 'জিপ হেলথ'-এর সাম্প্রতিক এক সমীক্ষায়। জানুয়ারিতে করা এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে বিভিন্ন সংস্থায় কর্মরত চাকুরিজীবিদের বিভিন্ন ব্যক্তিগত তথ্য। তার মধ্যে যে বিষয়টি সবচেয়ে নজর কেড়েছে তা হল, কর্মচারীদের একটি বড় অংশ কাজের চাপ কমাতে ভরসা রাখেন যৌন সঙ্গমে। আর তাতেই নাকি বাড়ে কর্মক্ষমতা।
আরও পড়ুন: বিমান দুর্ঘটনায় মরেননি, জেতেন ৫ কোটির লটারি! সাতবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফেরা বিশ্বের সবচেয়ে ‘লাকি’ ব্যক্তি ইনি
আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
মোট ১০০০ জনের উপর করা এই সমীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন ২০০ জন ম্যানেজার পদে কর্মরত ব্যাক্তি। বাকি ৮০০ জন ছিলেন সাধারণ কর্মচারী। কুড়ি, তিরিশ এবং চল্লিশের ঘরে থাকা ব্যাক্তিরাই কেবল অংশ নিয়েছিলেন সমীক্ষায়। সমীক্ষকদের দাবি, শতকরা ৫০ ভাগ ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, যাঁরা কাজের চাপ কমাতে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হয়েছেন, মিলনের পর তাঁদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে অধিকাংশ ক্ষেত্রে যাঁরা শরীর খারাপের অজুহাতে ছুটি নিয়েছেন তাঁরাই ছুটির দিনে মেতে উঠেছেন সঙ্গমে।

বিষয়টি কেবল, আনন্দ বা যৌন লালসার থেকে হচ্ছে এমন নয়। এই প্রসঙ্গে সমীক্ষকরা তুলে ধরেছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণা। ওই গবেষণায় বলা হয়েছে দিনরাত একটানা কাজ করে গেলে দেখা দিতে পারে মানসিক অবসাদ, উদ্বেগ, দুশ্চিন্তার মতো একাধিক মানসিক সমস্যা। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৬০ শতাংশ জানিয়েছেন, কাজের চাপ থেকে মুক্তি পেতে যৌনতা অন্যতম শ্রেষ্ঠ একটি উপায়। 'যদি অফিস থেকে যৌনতার জন্য বিশেষ ছুটির বন্দোবস্ত করা হয় তবে কি তাঁরা সেই ছুটি নেবেন?' এই প্রশ্নের উত্তরে ২০ থেকে ৪৩ বছর বয়সি সব ব্যাক্তি উত্তর দিয়েছেন, হ্যাঁ, তাঁরা এই ধরনের ছুটির পক্ষে। ২০ শতাংশ কর্মচারী সাফ জানিয়েছেন, 'ওয়েলনেস বেনিফিট' বা ভাল থাকার জন্য যদি কোনও সংস্থা এই ধরনের ছুটি দেয় তবে বর্তমান চাকরি ছাড়তেও দ্বিধা বোধ করবেন না তাঁরা। কাজেই সমীক্ষকদের দাবি, অদূর ভবিষ্যতে যদি বিভিন্ন সংস্থা এই ধরনের ছুটি চালু করে তবে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
