আজকাল ওয়েবডেস্ক: পোষ্যের প্রতি ভালবাসা থাকা নতুন নয়। তাই বলে এমন ভালবাসা যাতে দূরে চলে যায় স্বামী-সন্তান? আজব শোনালেও এমনই এক ঘটনার কথা জানিয়েছেন খ্যাতনামা জীবনশৈলী প্রশিক্ষক কলিন নোলান।
সাংসারিক সমস্যা সমাধানের জন্য বহু মানুষ কলিনের দ্বারস্থ হন। সেই প্রসঙ্গেই একটি সংবাদসংস্থাকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন কলিন। সেখানেই তিনি জানান এক অদ্ভুত চিঠির কথা। কলিন জানিয়েছেন একবার এক ৪০ বছর বয়সি মহিলা চিঠিতে তাঁকে জানান, নিজের পোষ্যকে নিয়ে মহা সমস্যায় রয়েছেন তিনি। কী সেই সমস্যা? ওই মহিলা জানান, প্রায় ১০ বছর বিয়ে হয়েছে তাঁর। রয়েছে এক কন্যাও। কিন্তু তাঁর সংসারে আরও এক সদস্য রয়েছে। তাঁদের পোষা কুকুর। আর সেই কুকুরকে নিয়েই যত গোলমাল।
মহিলা জানিয়েছেন, খুব ছোট থেকেই কুকুরটি তাঁদের কাছে আছে। প্রথমে সেটির জন্য আলাদা খাঁচার ব্যবস্থা করেছিলেন তাঁরা। সেখানেই থাকত কুকুরটি। কিন্তু কোভিড চলাকালীন তাঁর স্বামী ও কন্যা ভাইরাসে আক্রান্ত হন। তাঁরা নিভৃতবাসে থাকার সময় কুকুরটিকে নিজের কাছে নিয়ে শুতে শুরু করেন ওই মহিলা। আর তাতেই বিপত্তি। আর নিজের খাঁচায় ফিরে যেতে চায়নি কুকুরটি। মহিলা কুকুরটিকে খাঁচায় রেখে আসার কিছুক্ষণ পর সেটি নিজেই ফের শয়নকক্ষে এসে হাজির হতে শুরু করে। দরজা বন্ধ করে রাখলে দরজায় আঁচড় কাটে, কান্নাকাটি করে। প্রিয় পোষ্যের এহেন কষ্ট সহ্য করতে পারেন না মহিলা। তাই গত কয়েক বছর ধরে স্বামীর বদলে কুকুরকে নিয়ে ঘুমাতে যাচ্ছেন তিনি।
কলিন বিষয়টি শোনার পর পরামর্শ দিয়েছেন, পোষ্য কুকুর কখনও কখনও সন্তানের মতো অবুঝ হয়। কিন্তু তাই বলে তার সব আবদার মেনে নেওয়া চলে না। মহিলাকে তাঁর পরামর্শ, যতই কান্না করুক পোষ্য, কোনও মতেই শয়নকক্ষে ঢোকানো চলবে না তাকে। ধীরে ধীরে বিষয়টি অভ্যাস হয়ে যাবে পোষ্য কুকুরের।
