আজকাল ওয়েবডেস্ক: কথায় বলে, শরীর থাকলে রোগভোগের জ্বালা লেগেই থাকবে। তবে যে কোনও অসুখ প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা জরুরি। নচেৎ চুপিসারে ঘনিয়ে আসতে পারে বিপদ।ঠিক যেমন মানুষের দেহে এলডিএল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলে। কারণ এই কোলেস্টেরল বাড়লে হার্ট অ্যাটাক, হার্ট ব্লকেজ, স্ট্রোকের মতো মারণ রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করতে হলে শরীরের বেশ কিছু লক্ষণ বোঝা জরুরি। বিশেষ করে দেহের বেশ কিছু অঙ্গে ব্যথা হলে তা এলডিএল বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে।

*পায়ে ব্যথা বা খিঁচুনি:  কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে, পায়ে ব্যথা এবং খিঁচুনি হতে পারে। শরীরে খারাপ কোলেস্টেরল বাড়লে রক্ত প্রবাহ কমে যায়। তাই হাঁটা বা বিশ্রাম নেওয়ার সময় পায়ে ব্যথা, পা  ভারী হওয়া বা খিঁচুনি অনুভূত হতে পারে। 

*বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব: বুকে ব্যথা বা চাপ অনুভব করলে তা কোলেস্টেরলের একটি প্রধান এবং গুরুতর লক্ষণ হতে পারে। আসলে হৃদপিণ্ডের ধমনীতে কোলেস্টেরল জমা হওয়ার ফলে বুকে চাপ পড়ে।  যার ফলে জ্বালাপোড়া বা টানটান অনুভূত হয়। এই ধরনের লক্ষণগুলি হার্ট অ্যাটাক বা করোনারি ধমনী রোগ(সিএডি)-এর হতে পারে।

*ঘাড়, চোয়াল বা কাঁধে ব্যথা: কোলেস্টেরল বাড়লে ঘাড়ের চারপাশে ব্যথা হতে পারে। আসলে, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি পেলে পুরো শরীরের রক্তপ্রবাহ বাধা পেতে শুরু করে। যার জন্য ঘাড়ের চারপাশে, চোয়াল এবং কাঁধে অস্বাভাবিক ব্যথা, পেশীতে টান অনুভূত হতে পারে। 

আরও কিছু লক্ষণ:

•    কোলেস্টেরল বেড়ে গেলে হাত ও পায়ে অসাড়তা, ঝিনঝিন বা ঠান্ডা লাগা অনুভব করা যেতে পারে।

•    অনেক সময়ে কোলেস্টেরল বৃদ্ধির কারণে পায়ের রঙও নীল দেখায়।

•    মাথায় ভারী ভাব বা মাথা ঘোরাও কোলেস্টেরলের লক্ষণ।

•    সিঁড়ি বেয়ে ওঠার সময় শ্বাসকষ্ট বা ক্লান্তি বোধ করা কোলেস্টেরল বাড়ার সংকেত হতে পারে। 

•    কোলেস্টেরল বাড়লে চোখের চারপাশে হলুদ বর্ণ বা হলুদ বলয় দেখা দেয়। 

এই ধরনের কোনও রকম লক্ষণ নজরে এলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।