আজকাল ওয়েব ডেস্ক: দীপাবলি মানেই আলোর উৎসব। কালীপুজো, ভাইফোঁটা, অবাঙালিদের নানা ধরনের নিয়ম ও পুজো পার্বন পালিত হয় এই সময়ে। উৎসবের মরসুমে রীতি নীতি, উপোস করতে গিয়ে শরীরে পুষ্টির ঘাটতি হয়ে যায়। তখন বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই আলোর উৎসবে এইসব খাবার নিজের ডায়েটে রাখুন আর আলোর মতো ঝলমল করুন। উপোস করলেও সুস্থতার সঙ্গে উপভোগ করুন এই সময়।
রাজগিরা, অমরান্থ নামেও পরিচিত, একটি পুষ্টিকর শস্য। এটি গ্লুটেন-মুক্ত এবং প্রোটিন ও ডায়েটারি ফাইবারের উৎস। আমড়া গাছের বীজ থেকে তৈরি হয় এর আটা। হিন্দিতে একে রামদানা আটাও বলা হয়। যে কোনো আবহাওয়ায় এটি খাওয়া যায়। এতে উপস্থিত উপস্থিত প্রোটিন ও ফাইবার ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এই আটা দিয়ে টিক্কা বা মিষ্টির পদ হিসেবে লাড্ডুও তৈরি করা যায়, যা ভারতের একটি উৎসবের খাবার বলে পরিচিত।
মরিঙ্গা বা সজনে পাতায় রয়েছে উচ্চমাত্রার ভিটামিন ও মিনারেল, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। কোন ভাজা, টিকিয়া বা রুটি পরোটার সঙ্গে পাতে একটু এই পাতা বাটার চাটনি থাকলে খাওয়া জমে যাবে।
কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ও ভাল মানের ফ্যাট আছে। তাই যে কোনও মিষ্টি জাতীয় খাবারে একে যোগ করা যায়।
তেলে হালকা নেড়ে এই বীজকে স্যালাড মিষ্টির উপর সাজিয়ে দিন। তাছাড়া পায়েস, ফিরনিতেও উপরে ছড়িয়ে দিলে বেশ লাগে।
নারকেলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট শরীরের কোষগুলোকে ক্ষতিকর ফ্রি র্যাডিক্যাল থেকে রক্ষা করে। ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা থেকে মুক্তি দেয়। এতে আছে ভিটামিন সি, ম্যাগনেশিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ক্যালসিয়াম।নারকেলের জল হার্ট ভাল রাখে। নারকেল নাড়ু ও বরফি দীপাবলিতে অন্যতম মিষ্টি হিসেবে বিবেচিত হয়। তাছাড়া বিভিন্ন তরকারিতেও নারকেল দিলে তার স্বাদ দ্বিগুণ হয়ে যায়।
ফ্ল্যাক্স সিডে আছে উচ্চ মাত্রায় ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ও ফাইবার। এই ফ্ল্যাক্স সিডের পাউডার দিয়ে লাড্ডু তৈরি করলে তার আলাদা রকম মুচমুচে স্বাদ হয়। এর সঙ্গে খেজুরও দিতে পারেন। ফাইবার ও আয়রন সমৃদ্ধ এই খাবারটি চিনির বদলে বিকল্প হিসেবে কাজ করে। বিভিন্ন মিষ্টি পদে ব্যবহার করা হয়।
