আজকাল ওয়েবডেস্কঃ নুন ও তেল দিয়ে দাঁত মাজলে হলদে ছোপ দূর হয়, মাড়িও ভাল থাকে। আয়ুর্বেদের এই কথা শুনেছেন নিশ্চয়ই? কিন্তু তেলের কুলকুচির পদ্ধতি জানেন? প্রাচীন ভারতীয় আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই বিশেষ পদ্ধতির কথা উল্লেখ রয়েছে। যার প্রচলিত নাম 'অয়েল পুলিং'। বর্তমানে তারকা থেকে স্বাস্থ্যসচেতন অনেকেরই সকালের রুটিনে জায়গা পেয়েছে অয়েল পুলিং।
কীভাবে করতে হয় এই পদ্ধতি? যে কোনও খাবার তেল মুখে নিয়ে দুই থেকে পাঁচ মিনিট কুলকুচি করে ফেলে দিতে হবে। এরপর জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। যা অনেকটা মাউথওয়াশ ব্যবহারের মতোই। মুখের মধ্যে তেল দিয়ে কুলকুচি করার মতো সমানে করে যেতে হবে। প্রথম দিকে পাঁচ মিনিট, তারপর সময় বাড়িয়ে ১০ মিনিট করতে হবে। সব শেষে টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মেজে নিতে হবে।আয়ুর্বেদ অনুসারে, সকালে খালি পেটে বাসি মুখে এটি করলেই সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়। অয়েল পুলিং-এর জন্য ভার্জিন নারকেল তেল, তিলের তেল, সূর্যমুখী তেল অথবা সরষের তেল ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে নিয়মিত অয়েল পুলিং করলে কী কী উপকার পাবেন-
দাঁতের স্বাস্থ্যের জন্য অয়েল পুলিং খুবই উপকারী। দাঁত সাদা করার সবচেয়ে সহজ এই পন্থা। দাঁত পরিষ্কার করতে এবং মুখের ভেতরে থাকা নানান সমস্যার সমাধান করে এই অয়েল পুলিং। ক্যাভিটি বা দাঁত ক্ষয়ে যাওয়ার সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি দেয় এই পদ্ধতি। মাড়ি থেকে রক্ত পড়া, মাড়ির স্বাস্থ্য ভাল রাখা সবকিছুই করতে পারে অয়েল পুলিং।
অয়েল পুলিংয়ে পেটের নানা অসুখের আশঙ্কাও কমে। মুখের ভেতরের স্বাস্থ্য ভাল থাকলে সার্বিকভাবে বাড়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। শরীর থেকে টক্সিন বার করে দেয় অয়েল পুলিং। অনেকেই নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভোগেন। যা অয়েল পুলিং করলে অনেকটাই ঠিক হয়ে যায়। তেলের কুলকুচি করলে লালারসের গুণগত মান ভাল হয়। তাতে খাবার হজম করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরে মেদ জমে কম নিয়মিত অয়েল পুলিং করলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে থাকে। হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
অয়েল পুলিং হল একটি প্রাচীন আয়ুর্বেদিক অনুশীলন যা, মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখে। মনে রাখবেন, তেল দিয়ে কুলকুচি করলেও তেল যেন ভুলেও গিলে নেবেন না। একইসঙ্গে ফেনা হয়ে গেলে তেল ফেলে দিতে হবে।
