আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আমাদের হাতের কাছে এমন অনেক ফল রয়েছে যা খেতে যেমন সুস্বাদু, তেমনই গুণেও অতুলনীয়। তেমনই একটি ফল হল জাম। কালচে বেগুনি রঙের রসালো এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি। ডায়াবেটিকদের জন্য জাম অত্যন্ত উপকারী। এছাড়াও পটাশিয়াম, ফসফরাস, ক্যালশিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সমৃদ্ধ এই ফল নিয়মিত খেলে অনেক জটিল রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
*জাম খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। শাঁস ছাড়াও এর বীজ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভীষণ উপকারী। জামের বীজের গুঁড়ো করে খেলে বশে থাকে ব্লাড সুগার। আয়ুর্বেদে ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় জাম গাছের পাতা এবং গাছের ছাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
*জামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। তাই এটি খেলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। এই ফলের ক্যালোরি খুব কম, ফাইবার হজম করতে শরীরকে অতিরিক্ত ক্যালোরি বার্ন করতে হয়। তাই ওজন কমাতেও সাহায্য করে জাম।
*জামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ এবং অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট রয়েছে। যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে এবং শরীরের এনার্জি বাড়াতেও সাহায্য করে।
*ভিটামিন সি এবং আয়রনে ভরপুর জাম রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়ায়। ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালনও ভাল হয়। রক্তের মাধ্যমে দেহের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন পৌঁছলে সার্বিকভাবে সুস্থ থাকে শরীর।
*নিয়মিত জাম খাওয়া হার্টের জন্য উপকারী।কারণ এতে ভরপুর মাত্রায় রয়েছে পটাশিয়াম। যা হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। হার্ট অ্যাটাক, ধমনী সংক্রান্ত রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি এড়াতে জাম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।
*জামের মধ্যে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে যা মাড়ি থেকে রক্তপাত প্রতিরোধে সাহায্য করে। এক্ষেত্রে জামের গুঁড়ো মাজন হিসেবে ব্যবহার করলেও উপকার পাবেন।
*জামের মধ্যে রয়েছে ‘অ্যাস্ট্রিঞ্জেন্ট’ জাতীয় একটি উপাদান। যা তৈলাক্ত ত্বক থেকে অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণ নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে ব্রণের সমস্যা দূর হয়। এছাড়াও জামে উপস্থিত ভিটামিন সি ত্বকের জ্বালাপোড়া ভাব, লালচে দাগছোপ, র্যা শ কমাতেও কার্যকরী।
*জামের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ রয়েছে। যা চোখের স্বাস্থ্য ভাল রাখে। তাই নিয়মিত জাম খেলে চোখের সমস্যাও দূর হয়।
