বয়স ১১৬ বছর! তবুও তাঁর চমকে দেওয়া সতেজতা ও প্রাণবন্ত হাসি। এথেল ক্যাটারহ্যাম। বর্তমানে তিনি বিশ্বের সবচেয়ে প্রবীণ জীবিত মহিলা। ব্রিটেনে শৈশব কাটিয়েছেন এথেল। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর দীর্ঘ জীবনের পেছনে কোনও কঠোর ডায়েট বা নিয়মিত ব্যায়ামের ভূমিকা নেই। বরং একটিমাত্র সহজ অভ্যাসই তাঁকে এতটা সুস্থ ও আনন্দে বাঁচিয়ে রেখেছে। যা হল ঝগড়া, মনোমালিন্য এড়িয়ে চলা এবং জীবনের প্রতি ইতিবাচক মনোভাব রাখা।

 

১৯০৯ সালের ২১ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন এথেল ক্যাটারহ্যাম। তাঁর জীবনের পথচলায় রয়েছে এক শতাব্দীরও বেশি ইতিহাস। দুই বিশ্বযুদ্ধ, ব্রিটিশ রাজত্ব, টাইটানিক বিপর্যয় থেকে শুরু করে আধুনিক প্রযুক্তির যুগ-সবকিছুর সাক্ষী তিনি নিজেই।এথেলের কথায়, “আমি কখনও কারও সঙ্গে লড়াই করি না। সবাইকে শুনি, হাসি, আর যা ভাল লাগে তাই করি। জীবন ছোট, তাই সুখ খোঁজা শেখা দরকার।” তাঁর মতে, মানসিক শান্তিই দীর্ঘ জীবনের মূল চাবিকাঠি। ব্যায়াম বা কঠোর খাদ্যনিয়ম নয়, বরং মানসিক ভারসাম্য ও ভালবাসায় ভরা সম্পর্কই একজন মানুষকে টিকিয়ে রাখে।

 

ছোটবেলায় এথেল ব্রিটেনে বড় হলেও, পরবর্তী জীবনে তিনি ভারত, হংকং ও জিব্রালটারে থেকেছেন। জীবনের নানা সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে তিনি হয়ে উঠেছেন আরও খোলা মনের ও সহনশীল। তিনি বলেন, “ভালবাসা, কৌতূহল আর সামঞ্জস্য-এই তিনটিই আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছে।”বর্তমানে ব্রিটেনের সারেতে একটি বৃদ্ধাশ্রমে থাকেন এথেল।

 

তাঁর দিন কাটে বই পড়ে, অন্যদের সঙ্গে গল্প করে ও পরিবারের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে। আশেপাশের সকলে বলেন, তাঁর হাসি ও ইতিবাচক মনোভাব সংক্রামক-যা অনেক তরুণকেও অনুপ্রাণিত করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এথেলের জীবন থেকে একটা শিক্ষা নেওয়া যায়। দীর্ঘায়ু শুধু শরীরচর্চা বা ডায়েটের ফল নয়, বরং মানসিক প্রশান্তি, সামাজিক সংযোগ এবং শান্ত মনোভাবও সমানভাবে জরুরি।