বিয়ে মানেই শুধুই ভালবাসা নয়, এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে মানসিক শান্তি, স্থায়িত্ব আর সুখী জীবনযাপন। দাম্পত্য জীবনের সুখের জন্য কত কিছুই না করা হয়। প্রতিটি দম্পতি চান যে তাদের দাম্পত্য জীবন যেন সুখের হয়। অনেক বিবাহিত দম্পতি তাদের সম্পর্ক নিয়ে সংশয়ে থাকেন।
বিবাহিত জীবনকে সুখী করতে কী কী দরকার? এই প্রশ্নে সমাজে রয়েছে হাজারো মত, বইয়ের পাতায় উপদেশের পাহাড়, সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো গুরুর জ্ঞান! তবে সাম্প্রতিক গবেষণায় সুখী দাম্পত্যের এক অদ্ভুত সামাধান উঠে এসেছে। গবেষকরা জানিয়েছেন, যেসব পুরুষ মোটা বা স্থূলকায় মহিলাদের বিয়ে করেন, তারা নাকি অন্যদের তুলনায় অনেক বেশি সুখী জীবন কাটান! হ্যাঁ, ঠিকই পড়ছেন। অবাক লাগলেও এই গবেষণা ঘিরে ব্যাপক চর্চা শুরু হয়েছে।
গবেষণায় দেখা গেছে, স্থূলকায় মহিলারা সাধারণত স্বামী ও সংসারের প্রতি বেশি যত্নশীল ও সহানুভূতিশীল হয়ে থাকেন। তাঁরা দাম্পত্য জীবনে আনন্দ, হাসি আর উষ্ণতা বজায় রাখতে পারেন। একইসঙ্গে এই ধরনের মহিলারা সাধারণত কম চাপগ্রস্ত এবং পরিবারে অকারণ দ্বন্দ্ব তৈরি করতে চান না। তাই স্থূলকায় মহিলাদের সঙ্গে থাকা পুরুষরা জীবনে মানসিকভাবে স্বস্তি পান, হতাশা কমে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ে।
কেন এমনটা হতে পারে? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামাজিক সৌন্দর্যের মাপকাঠি নিয়ে মোটা মহিলারা ততটা উদ্বিগ্ন থাকেন না। তাঁরা সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বাস, আবেগ আর পারস্পরিক সম্মানকে অগ্রাধিকার দেন। যার ফলে সম্পর্ক হয়ে ওঠে আরও মজবুত, স্থায়ী ও সুখময়।
যুগ যুগ ধরে দাম্পত্যের স্ত্রীর প্রতি সৌন্দর্যের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আর এই সৌন্দর্য বলতে বাহ্যিক সৌন্দর্য অর্থাৎ ছিপছিপে চেহারার মোহময়ী রূপকে বলা হয়। সমাজে প্রচলিত ধারণার খানিকটা বিপরীতেই এই তথ্য ধরা পড়েছে। আসলে সাধারণত স্লিমফিট চেহারাকেই সৌন্দর্যের মাপকাঠি ধরা হয়। কিন্তু এই গবেষণা দেখিয়েছে, দাম্পত্য সুখের আসল রহস্য শরীরের গড়নে নয়, বরং মানসিকতা ও যত্নশীলতায় লুকিয়ে রয়েছে। গবেষণা বলছে, স্ত্রীর ওজন বেশি থাকা মানেই স্বামীর জন্য মানসিক শান্তি, সুখ এবং হাসিখুশি পরিবেশ। অর্থাৎ, সৌন্দর্যের সামাজিক মানদণ্ড নয়, আসল সুখ নির্ভর করে বোঝাপড়া ও ভালবাসার উপর।
