আজকাল ওয়েবডেস্কঃ টানা গরমের পর বর্ষাকালে খানিকটা স্বস্তি হয় বটে! বৃষ্টির দিনগুলোতে তাপমাত্রা খানিকটা কমে ঠিকই, কিন্তু গরম একেবারে পিছু ছাড়ে না। বিশেষ করে অতিরিক্ত আপেক্ষিক আর্দ্রতার কারণে ভ্যাপসা গুমোট গরম অনুভূত হয়। ফলে এই সময়েও স্বস্তি পেতে এসি, কুলার না চালিয়ে উপায় নেই। বিশেষ করে বাড়িতে শীতাতাপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের উপর ভরসা করেন অনেকে। কিন্তু অতিরিক্ত আর্দ্রতার কারসাজিতে বর্ষাকালে অনেক সময়েই কুলার থেকে ঠান্ডা হাওয়ার পরিবর্তে গরম হাওয়া বার হতে থাকে। আপনিও যদি এই সমস্যায় ভুক্তভোগী হন তাহলে চিন্তা ছাড়ুন। কারণ মাত্র ৫ টাকাতেই ঘরে এসির মতো ঠান্ডা হাওয়ায় স্বস্তি পেতে পারেন। 

বর্ষাকালে কুলার কাজ না করার কারণ কী

আসলে এয়ার কুলার যেহেতু বাষ্পীভবনের মধ্যে দিয়ে ঘরের শীতলতা আনে। আর বর্ষাকালে বাতাসে ইতিমধ্যেই আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকে। ফলে কুলারের শীতল বাতাস আরও আর্দ্রতা বৃদ্ধি করে। এই কারণেই কুলার থেকে আসা বাতাস উষ্ণ অনুভূত হয় এবং  আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বাড়ে। তবে কয়েকটি সহজ উপায়ে কুলারের কার্যক্ষমতা ঠিক রাখতে পারেন। 

 

আরও পড়ুনঃ গোপনে ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে কিডনি? কোন কোন লক্ষণ দেখলেই বুঝবেন আজই চিকিৎসকের কাছে যাওয়া জরুরি?

 

* বেকিং সোডা: আপনি হয়তো আপনার রান্নাঘরে কিংবা জিনিসপত্র পরিষ্কারের জন্য বেকিং সোডা ব্যবহার করেন। সেই বেকিং সোডাই বাতাস থেকে আর্দ্রতা শোষণ করতে পারে। যার জন্য একটি ছোট সুতির কাপড় নিন। তাকে ১-২ চা চামচ বেকিং সোডা যোগ করুন। এটি একটি ছোট থলিতে বেঁধে ঘরের এক কোণে ঝুলিয়ে দিন। কুলার চালু করার সঙ্গে সঙ্গে থলিটি বাতাস থেকে আর্দ্রতা শোষণ করতে শুরু করবে। এটি আর্দ্রতার মাত্রা কমিয়ে দেয়। একইসঙ্গে কুলারকে ঠান্ডা, শুষ্ক বাতাস সঞ্চালন করতে দেয়। ফলে তাৎক্ষণিকভাবে ঘরটি আরও মনোরম হয়ে ওঠে। 

* কুলারের পাশে ফ্যান ব্যবহারঃ বর্ষাকালে কুলারের সঙ্গে ফ্যান ব্যবহার করলে ঘরে স্বস্তি পাবেন। কুলার বাতাসে আর্দ্রতা যোগ করলেও, ফ্যান সেটি সঞ্চালনে সাহায্য করে এবং আর্দ্র বাতাসকে বাইরের দিকে ঠেলে দেয়। যার ফলে সেই জায়গাটির চিটচিটে ভাব কমে যায়। সম্ভব হলে কিছুক্ষণের জন্য এক্সহস্ট ফ্যান চালু করুন। সতেজ বাতাস চলাচলের জন্য জানলা সামান্য খোলা রাখুন। গরম বাতাস বার করে দেওয়ার জন্য সিলিং বা পেডেস্টাল ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন। 

* কিছুক্ষণের জন্য জল ছাড়া কুলার চালানঃ যদি আপনার ঘর অতিরিক্ত স্যাঁতসেঁতে মনে হয়, তাহলে অল্প সময়ের জন্য জল ছাড়া কুলার চালান। এতে কুলারে থাকা ফ্যানটি বেশি আর্দ্রতা না বাড়িয়ে বাতাস সঞ্চালন করতে পারবে। এতে বরফ-ঠান্ডা বাতাস নাও হতে পারে, তবে বাতাসের আঠালো ভাব কমাবে এবং ঘরের আর্দ্রতার মাত্রার ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করবে।

* ছোট ছোট পরিবর্তনের মাধ্যমে সুফলঃ বেকিং সোডা ও ফ্যান ব্যবহার এবং কুলার সঠিকভাবে চালানো-এই তিনটি সহজ কৌশল মানলে বেশি খরচ না করেই প্রায় এসির মতো ঠান্ডা হাওয়া পেতে পারেন।