হিন্দু ধর্মে একাদশীর ব্রত অত্যন্ত পবিত্র বলে গণ্য হয়। তার মধ্যে মোক্ষদা একাদশী বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। এবছর মোক্ষদা একাদশী পড়েছে আজ সোমবার ১ ডিসেম্বর। ধর্মশাস্ত্র মতে, এই একাদশী পালন করলে জীবনের নানা পাপ মোচন হয়, মন-আত্মা শুদ্ধ হয় এবং পূর্বপুরুষদেরও মুক্তি লাভের পথ সুগম হয়। এই কারণেই দিনটিকে ‘মোক্ষ প্রদানকারী একাদশী’ বলে অভিহিত করা হয়।
একাদশী তিথি শুরু হয়েছে ৩০ নভেম্বর রাত ৯টা ২৯ মিনিটে এবং শেষ হবে ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ১ মিনিটে। মোক্ষদা একাদশীকে ঘিরে একটি জনপ্রিয় পুরাণকথা রয়েছে।কথিত রয়েছে, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে এই দিনেই গীতার বাণী শুনিয়েছিলেন। এই দিনেই তাই গীতা জয়ন্তী পালিত হয়।
আজ দুর্ভাগ্যকে বিদায় জানানোর এবং স্বপ্নপূরণের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। আপনি যদি জীবনের নানা সমস্যা, দ্বিধা-দ্বন্দ্বে জর্জরিত থাকেন, দীর্ঘদিন ধরে যদি সেইসব জটিলতার সমাধান খুঁজে না পান তাহলে আজকের দিনেই মনের সব ইচ্ছা পূরণ হতে পারে। নিজের সমস্ত চিন্তাভাবনা কৃষ্ণের কাছে সমর্পণ করে মুক্ত হতে পারেন। শাস্ত্র বলছে, আজ বিকেল সাড়ে ৫টা থেকে সন্ধে ৭টার মধ্যে সঠিক নিয়মে মনের ইচ্ছা প্রকাশ করলেই তা পূরণ হবে।
কীভাবে মনের ইচ্ছা প্রকাশ করবেন
১. একটা সাদা কাগজ নিন। সাদা শুদ্ধতা, নতুন সূচনা এবং ঐশ্বরিক আশীর্বাদের প্রতীক।
২. বর্তমান সময়ে তিনটি ইচ্ছা লিখুন। যেমন- ‘আমি আর্থিকভাবে স্থিতিশীল’, ‘আমি সুখী বিবাহিত’, ‘আমি মানসিকভাবে শান্তিতে আছি।’
৩. ১০৮বার বিষ্ণু গায়ত্রী মন্ত্র জপ করুন। ওম নারায়ণ বিদমাহে, বাসুদেবায়া ধিমাহি, তন্নো বিষ্ণু প্রচোদায়াত। এই মন্ত্রটি সুরক্ষা, প্রাচুর্য এবং মুক্তির আহ্বান জানায়।
৪. কর্পূর দিয়ে পেপারটি জ্বালিয়ে দিন। কাগজটা যখন জ্বলবে তখন কল্পনা করুন যেন আপনার দুশ্চিন্তার সমাধান হয়েছে, তোমার ইচ্ছাগুলো ঐশ্বরিক দিকে চালিত হচ্ছে, কর্মফলের সমস্যা মিটেছে।
৫. ভগবান কৃষ্ণের কাছে আত্মসমর্পণ করুন। চোখ বন্ধ করে প্রার্থনা করুন। মনে মনে বলুন, কৃষ্ণ আমার সমস্ত দ্বিধা এবং লড়াই তোমার কাছে সঁপে করলাম। আমাকে পথ দেখাও, নিরারত্তা দাও এবং আমার জন্য যা সঠিক তা পূরণ করো।
