আজকাল ওয়েবডেস্ক: মেজেজ খিটখিটে হয়ে যাচ্ছে? ছোটখাটো বিষয় নিয়ে মাথা গরম করে ফেলছেন? প্রিয়জনের সঙ্গে সংঘাতের পরিস্থিতি দেখা দিচ্ছে? সব কিছুর মূলে থাকতে পারে রোজকার ব্যবহারের মোবাইল ফোন। ফোনের ব্যবহার কমালেই উন্নতি হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্যের। অস্থিরতা, মেজাজ হারানো কিংবা মনোযোগ না দিতে পারার মতো সমস্যাও কমে আসতে পারে। অন্তত এমনই ইঙ্গিত মিলেছে টেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায়।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অস্টিনের ইউনিভার্সিটি অফ টেক্সাস থেকে সম্প্রতি ৪৬৭ জনের উপর একটি সমীক্ষা করা হয়। সমীক্ষায় অংশ নেওয়া ব্যক্তিদের বয়স ছিল ১৮ থেকে ৭৪-এর মধ্যে। সমীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল অতিরিক্ত স্মার্টফোন ব্যবহারের ফলে মানসিক স্বাস্থ্য, মেজাজ এবং মনোযোগের উপর কী ধরনের প্রভাব পড়ে তা খতিয়ে দেখা, পাশাপাশি স্মার্টফোন থেকে দূরে থাকলে বা ফোনের ব্যবহার সীমিত করলে মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি হয় কিনা তা নির্ধারণ করা।
আরও পড়ুন: শুক্রাণু দান করে কত টাকা আয় হয়? ভারতে বীর্য দাতা হতে গেলে কোন কোন নিয়ম জানতে হবে?
আরও পড়ুন: ১২ জন স্ত্রী! বাচ্চা করাই নেশা! ১০২ সন্তানের বাবা হয়ে অবশেষে থামলেন ৬৮-র মুসা, কেন ক্ষান্ত দিলেন? কী বললেন এ যুগের ধৃতরাষ্ট্র?
সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের দুই সপ্তাহের জন্য ইন্টারনেট ব্যবহার কমিয়ে ফেলতে বলা হয়েছিল। এর পর বিভিন্ন প্রশ্নাবলীর মাধ্যমে তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য, মেজাজ এবং মনোযোগে কী কী পরিবর্তন আসে তার মূল্যায়ন করেন সমীক্ষকরা। কী বুঝতে পারলেন গবেষকরা? সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে ৯১% অংশগ্রহণকারী অন্তত একটি ইতিবাচক পরিবর্তন অনুভব করেছেন। ৭১% অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, তাঁদের মানসিক স্বাস্থ্য আগের চেয়ে ভাল হয়েছে। আর ৭৩% অংশগ্রহণকারী জানিয়েছেন, তাঁরা সামগ্রিকভাবে আগের চেয়ে ভাল বোধ করেছেন। কারণ, তাঁদের মধ্যে বিষণ্ণতার লক্ষণ কমে গিয়েছে। মনোযোগের উন্নতি ঘটেছে
সমীক্ষকরা একে বলছেন ‘ডিজিটাল ডিটক্স’। স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার কমিয়ে ফেলতে পারলেই মানসিক চাপ বহুলাংশে লাঘব হয়। এমনকী সমীক্ষকদের দাবি, কারও কারও ক্ষেত্রে এই প্রক্রিয়া ওষুধের থেকেও ভাল কাজ করেছে। কারণ তাঁরা সার্বিক ভাবে নিজেদের রোজকার জীবনের ভাল লাগার উপর নজর দেওয়ার সময় পেয়েছেন। তাই সমীক্ষকদের বক্তব্য, আজকের দিনে হয়তো মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করা অসম্ভব। কিন্তু চেষ্টা করতে হবে রোজকার জীবনে যেন ফোনের ব্যবহার সীমিত হয়।
সব মিলিয়ে মোবাইল আসক্তি এখন একটি বাস্তব সমস্যা। কিন্তু কিছু সহজ অভ্যাস বদলে ফেললেই এই আসক্তি কমানো সম্ভব।
১. নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন: দিনের নির্দিষ্ট সময়ে মোবাইল ব্যবহার করুন, বিশেষ করে খাবার ও ঘুমের সময় বাদ দিন।
২. অ্যাপ ব্যবহারে সীমা টানুন: স্ক্রিন টাইম ট্র্যাকিং অ্যাপ ব্যবহার করে প্রতিদিন নির্দিষ্ট সময় ঠিক করুন।
৩. ‘না মোবাইল জোন’ বানান: ঘর বা বিছানায় মোবাইল নিষিদ্ধ রাখুন।
৪. বিকল্প খোঁজ করুন: বই পড়া, হাঁটাহাঁটি, বা অন্য কোনও শখে মন দিন।
৫. রাতের মোবাইল ব্যবহার বন্ধ করুন: ঘুমের অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল বন্ধ রাখুন।
