আজকাল ওয়েবডেস্ক: মাঘ মাসের অমাবস্যা তিথির নাম মৌনী অমাবস্যা। এবারের মৌনী অমাবস্যায় অত্যন্ত শুভ সংযোগ তৈরি হতে চলেছে। ২৯ জানুয়ারি তিন গ্রহ মিলে ত্রিবেণী যোগ তৈরি করছে। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী, এই তিথিতে মকর রাশিতে সূর্য, চন্দ্র ও বুধ একসঙ্গে উপস্থিত থাকবে। যার প্রভাবে ত্রিবেণী যোগ তৈরি হবে। একইসঙ্গে  বৃহস্পতির সঙ্গে এই তিন গ্রহের নবমপঞ্চম যোগ তৈরি হবে।

এবারের মৌনী অমবস্যা তিথি:

হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী,  মঙ্গলবার ২৮ জানুয়ারি ০৭ টা ৩৫ মিনিট থেকে মৌনী অমাবস্যার তিথি পড়ছে। এই তিথি শেষ হবে ২৯ জানুয়ারি সন্ধে ৬ টা ০৫ মিনিটে। ফলে মৌনী অমাবস্যা ২৯ জানুয়ারিতেই পালিত হবে। 

মৌনী অমবস্যা নাম কেন: 

কথিত রয়েছে, ঋষি মনু এই তিথিতে জন্মেছিলেন বলে এই দিনের নাম মৌনী অমাবস্যা। আবার অনেকের মতে, এই তিথিতে মৌনব্রত পালন করলে অশুভ শক্তির বিনাশ হয় বলে তিথির নাম হয়েছে মৌনী অমাবস্যা। আবার জ্যোতিষশাস্ত্র অনুযায়ী মনের দেবতা চন্দ্রদেব। মাঘী অমাবস্যার রাতে আকাশে চন্দ্রদেবকে দেখা যায় না। অন্য অমাবস্যার তুলনায় এই অমাবস্যার রাত অনেক বেশি ঘন কালো হয়। তাই মানুষের মন বিচলিত ও অশান্ত হয়ে ওঠে। মনকে শান্ত করার জন্যই মৌনব্রত পালন করা হয়। তাই এই অমাবস্যার নাম মৌনী। 

মৌনী অমবস্যার মাহাত্ম্য: 

নামের ব্যাখ্যা যাই হোক না কেন  শাস্ত্রমতে মৌনী অমাবস্যা তিথির বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে।  সমস্ত অমাবস্যার মধ্যে মৌনী অমাবস্যার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। এই তিথিতে পূর্বপুরুষদের স্মরণে তর্পণ ও অনুষ্ঠান করার প্রথা রয়েছে। যাঁরা পূর্বপুরুষদের মৃত্যুর তিথি জানেন না, তাঁরা মৌনী অমাবস্যায় পিণ্ডদান করতে পারেন। এটিই বছরের প্রথম অমাবস্যা পালিত হবে। আবার প্রয়াগরাজে বর্তমানে মহাকুম্ভ চলছে। মৌনী অমবস্যা উপলক্ষে সেখানে শাহী স্নানও করা হবে। 

মৌনী অমবস্যার দিন পালনের রীতি

শাস্ত্র অনুযায়ী, মৌনী অমাবস্যার সন্ধ্যায় অশ্বত্থগাছের নীচে প্রদীপ জ্বালালে এবং শনিদেবের মন্ত্র জপ করলে শনিদেব সন্তুষ্ট হবেন। ফলে নেতিবাচক প্রভাব কেটে যাওয়ার সম্ভবনা। 
দরিদ্রকে কালো বস্ত্র দিলে তুষ্ট হন শনিদেব। 
গঙ্গা বা কোনও নদীর জলে স্নান করে দিন শুরু করলে শুভ হয়। 
এদিন দুধ, কালো তিল, তিলের তেল, তিলের নাড়ু দান করা উচিত। এছাড়াও সূর্যদেবকে দুধ ও তিলের বীজের অর্ঘ্য অর্পণ করলে মনের সব ইচ্ছে পূরণ হয়।