আজকাল ওয়েবডেস্ক: আদর্শ সম্পর্ক ঠিক কেমন? এই প্রশ্নের উত্তর নিয়ত পরিবর্তনশীল। সম্পর্কের ধারাও ক্রমশ পরিবর্তনশীল। স্থান-কাল-পাত্রের ভেদে তা বদলে বদলে যায়। তেমনই এক বিতর্কিত ও জটিল যৌন-মনস্তাত্ত্বিক ধারণা নিয়ে সম্প্রতি তুমুল আলোচনায় হচ্ছে। বিষয়টির নাম ‘হটওয়াইফিং’। এটি মূলত একধরনের সম্মতিসূচক বহুগামিতা, এই ধরনের সম্পর্কে বিবাহিত এক নারী তাঁর স্বামীর সম্মতিতে অন্য পুরুষের সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হন। শুনতে অবাক লাগলেও স্বামী তাঁর স্ত্রীর এহেন আচরণ সম্পর্কে সচেতন থাকেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে ‘হটওয়াইফিং’ শুধুমাত্র যৌনতার সীমানায় সীমাবদ্ধ নয়। এর নেপথ্যে রয়েছে মনস্তাত্ত্বিক উত্তেজনা, সম্পর্কের শক্তি বিন্যাস এবং দাম্পত্যের এক নতুন রূপের সন্ধান। অনেক দম্পতি একে বিবাহিত জীবনে একঘেয়েমি কাটানোর উপায় হিসেবে দেখেন। কেউ আবার এতে গভীর আত্মবিশ্বাস ও পারস্পরিক স্বচ্ছতা খুঁজে পান। তবে এর উল্টো দিকও রয়েছে। অনেকেই মনে করেন এতে সম্পর্কের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কারণ এতে ইগো, হিংসা বা প্রত্যাশার টানাপোড়েন চলে আসে।
বিষয়টি কেবলমাত্র তখনই সুস্থ ও নিরাপদ থাকতে পারে, যখন তাতে স্বামী-স্ত্রী উভয়েরই পূর্ণ সম্মতি এবং মানসিক প্রস্তুতি রয়েছে। বিশেষ করে ভারতীয় সমাজে এটি এখনও অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। গোপনীয় পর্যায়ে সীমাবদ্ধ। তবে ডিজিটাল যুগে, বিশেষ করে ওয়েব সিরিজ ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে এর চর্চা ও আলোচনা ধীরে ধীরে যে ক্রমশ দৃশ্যমান হয়ে উঠছে সে কথা অস্বীকার করা যায় না।
সবমিলিয়ে হটওয়াইফিং সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞা তৈরি করছে ঠিকই, তবে এর পরিণতি নির্ভর করে পারস্পরিক শ্রদ্ধা, সততা ও মানসিক প্রস্তুতির উপর।
