বয়স তাঁর ৫০ পেরিয়েছে। কিন্তু এখনও রূপের বাহার হোক কিংবা ফিটনেস, অল্পবয়সি অভিনেত্রীদের জোর টক্কর দিতে পারেন। বলিউডে যদি কেউ ফিটনেসের মানকে শিখরে পৌঁছে দিতে পারেন তিনি মালাইকা আরোরা। বয়সের কাঁটা বেশ খানিকটা এগিয়ে গেলেও আজও তিনি সমান ফিট, এনার্জিতে ভরপুর, স্টাইল আইকন। ঠিক কোন মন্ত্রে নিজের চেহারায় তারুণ্য ধরে রেখেছেন অভিনেত্রী? সম্প্রতি সেই গোপন রহস্য ফাঁস করেছেন মালাইকা আরোরা।
সোহা আলি খানের পডকাস্টে নিজের ফিটনেস এবং সুস্থতা নিয়ে খোলাখুলি কথা বলেন মালাইকা। তিনি জানান, সুস্থ শরীরের জন্য সঠিক ঘুম, পুষ্টিকর খাবার এবং মন-শরীরের সুসংযোগ সবচেয়ে জরুরি। নিয়মিত রুটিন, পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও মানসিক শান্তি শরীরকে সতেজ রাখে। তাঁর কথায় “আমি ৫০-এ পা দিচ্ছি, কিন্তু মনে হয় যেন আমার বয়স আরও কম। আমার কাছে বয়স শুধু সংখ্যা, এটা আমাকে থামাতে পারবে না।”
আরও পড়ুনঃ সামান্য পরিশ্রমেই অতিরিক্ত ঘাম হয়? গরম নয়, হতে পারে শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতির বিপদসংকেত
 
 ১. পুষ্টিই ফিটনেসের চাবিকাঠিঃ সুস্থতার জন্য খাদ্যভাসের উপর সবচেয়ে বেশি জোর দেন মালাইকা। সাধারণ বাড়িতে রান্না করা খাবার খান তিনি। অভিনেত্রীর বলেন, "ঘি আমার সুপারফুড। ঘুম, জল, শৃঙ্খলা, ধারাবাহিকতা-এই বিষয়গুলোর যত্ন নেওয়া আপনার জীবনে বিশাল পরিবর্তন আনে এবং আমি সত্যিই জীবনে এই নির্দিষ্ট নীতিগুলো মেনে চলি।" ওয়ার্কআউটের পরে মালাইকা টোস্ট, ডিম, ধোসা খান। কখনও কখনও কলা, খেজুর এবং বাদাম দিয়ে বাড়িতে তৈরি প্রোটিন শেকও খান তিনি।

 
 ২. ক্ষুধার্ত নয়, পরিমিত খাওয়াদাওয়াঃ ফিটনেসের জন্য ‘ব্যালেন্স’-কেই গুরুত্ব দেন মালাইকা। সবকিছু খেলেও পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করেন এবং কখনও ক্ষুধার্ত থাকেন না তিনি। যে কোনও জায়গায় ঘরের খাবার নিয়ে যান। সাধারণত ভরা পেটে ব্যায়াম করা এড়িয়ে চলেন মালাইকা।  তবে একেবারে খালি পেটেও শরীরচর্চার করেন না। তিনি বলেন, “আমি তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠি। ওয়ার্কআউট করি এবং তারপর পেট ভরে খাবার খাই।" 
৩. ব্যায়ামই ফিট রাখেঃ যোগাসনের প্রতি মালাইকা আরোর ভালবাসা সকলেই জানেন। যোগার মধ্যে বেশিরভাগ দিন সকালে তিনি সূর্য নমস্কার করেন। তার সঙ্গে কখনও কখনও করেন হাই ইনটেনসিটি ইন্টারভাল ট্রেনিং (এইচআইআইটি) মুভস, স্ট্রেংথ ট্রেনিং এবং পিলেটস। এই মিলিত চর্চা তাঁকে কেবল শারীরিকভাবে নয়, মানসিকভাবেও দৃঢ় রাখে।
