আজকাল ওয়েব ডেস্ক: বুক জ্বালাপোড়া, পেট ফাঁপা, অরুচি, বদহজম, বুকে বা পেটে ব্যথা! নয় থেকে নব্বই, এইসব সমস্যার সঙ্গে এখন প্রায় সকলেই পরিচিত। যার জন্য ঘন ঘন গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ খাওয়ার প্রবণতাও চোখে পড়ে। এদিকে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া মাসের পর মাস টানা গ্যাসের ওষুধ খেলে যে ঘটতে পারে বিপদ। তাই গ্যাসের সমস্যা সমাধানে অজান্তে বড় বিপদ ডেকে আনছেন না তো! কারণ বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘদিন গ্যাসের ওষুধ খাওয়া স্বাস্থ্যের পক্ষে মোটেও ভাল নয়।
কিছু ভিটামিন ও খনিজ লবণ যেমন ভিটামিন বি১২, ফলিক অ্যাসিড, আয়রন বিপাক প্রক্রিয়ার জন্য অ্যাসিডের দরকার হয়। সেক্ষেত্রে দীর্ঘদিন গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার ফলে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যাসিড পাকস্থলীতে তৈরি হয় না, ফলে শরীরে ভিটামিন সহ এসব খনিজ লবণের ঘাটতি দেখা দেয়। দীর্ঘদিন গ্যাসের অসুধ খেলে পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। আসলে গ্যাসের ওষুধ খাওয়ায় পাকস্থলীর গ্রন্থি থেকে গ্যাস্ট্রিন নামক হরমোন তৈরির প্রবণতা বেড়ে যায়। যা পাকস্থলীর ক্যানসার হওয়ার অন্যতম কারণ।
বিভিন্ন ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া বা জীবাণুকে পাকস্থলীর অ্যাসিড ধ্বংস করে। কিন্তু গ্যাসের ওষুধ খেলে এইসব ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলি শক্তিশালী হয়ে সংক্রামক রোগ তৈরি করে। আবার বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, সারা বছর গ্যাসের ওষুধ খাওয়ায় কিডনিতেও প্রভাব পড়ে। কিডনির কার্যকারিতা কমে যাওয়ার প্রবণতা অনেক গুণ বেড়ে যায়।
দীর্ঘদিন গ্যাসের ওষুধ খাওয়ার কারণে কিছু কিছু হরমোনের প্রভাবে শরীরে অ্যাসিড বেশি তৈরি হয়। ফলে একটা সময় পর বুকে জ্বালাপোড়ার মতো প্রদাহ হলে তা কোনও গ্যাসের ওষুধ দিয়ে প্রশমিত করা যায় না। হাড় তৈরি হওয়ার অন্যতম উপাদান হল ক্যালসিয়াম। আর ক্যালসিয়াম বিপাকের জন্য দরকার অ্যাসিড। ক্রমাগত গ্যাসের ওষুধ খেলে শরীরে অ্যাসিডের ঘাটতি হয় এবং ক্যালসিয়ামের অভাবজনিত কারণে হাড় ক্ষয়ের মতো রোগ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া দিনের পর দিন গ্যাসের ওষুধ খাওয়া ঠিক নয়।
