আজকাল ওয়েব ডেস্ক: অফিসের চেয়ারে অনেকটা সময় পা ঝুলিয়ে বসে আছেন।পা মাটিতে ফেলে হাঁটতে গিয়েই হাঁটুতে টান ধরলো।লিফ্‌ট খারাপ হলে তো কথাই নেই। উপরে উঠতে সিঁড়িই ভরসা। সেই কথা ভেবেই কান্না পাওয়ার জোগাড়।সিঁড়ি ভাঙতে গিয়ে যন্ত্রণায় মুখ কুঁকড়ে যাচ্ছে। হাঁটুর ব্যথায় এমনই করুণ অবস্থা অল্পবয়সীদের মধ্যে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, হাঁটুর ব্যথার সমস্যায় বয়স্কদের তুলনায় ইদানীং কমবয়সিরা বেশি ভুগছেন। অফিসে এক জায়গায় দীর্ঘ ক্ষণ বসে থাকা, অনিয়মিত জীবনযাপন, ব্যস্ততার কারণে শরীরচর্চার অভাবে মূলত এ ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে।

তবে হাঁটুতে ব্যথা হলে প্রথমেই মুঠো মুঠো পেইনকিলার খেতে হবে এমন ভাবার কোন কারণ নেই।ঘরোয়া টোটকা দিয়ে আপনিও পারেন এই যন্ত্রণা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে। হাঁটুতে ব্যথা আটকাতে কী কী নিয়ম মানবেন জেনে নিন।

সব সময়ে পুরনো চোট লেগেই হাঁটুতে ব্যথা হয় এমন নয়। বাতের ব্যথা, আর্থ্রাইটিস, লিগামেন্টে সমস্যা হলে সেখান থেকেও ব্যথা হতে পারে। আবার শরীরের ওজন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি হলেও হাঁটুতে ব্যথা হয়।ওজন বৃদ্ধি কিন্তু সত্যি একটি অন্যতম বড় সমস্য। শরীরের ভার যত বাড়তে থাকে হাঁটুর উপর চাপ পড়ে। তার থেকে ব্যথাও বেশি হবে। চিকিৎসকেরা সবার আগে আপনার ওজন কমানোর কথা বলে থাকেন ঠিক এই কারণেই। মিষ্টি, তেলেভাজা, ক্যালোরিযুক্ত যেকোনও খাবার ডায়েট থেকে বাদ দিন।

আপনার বাড়তি ওজন কমাতে পারলে সমস্যার অনেকটাই সমাধান হবে।

হাঁটুতে এক বার ব্যথা হলে সহজে কমতে চায় না। বাথরুম ব্যবহারের সময়ও যন্ত্রনায় ওঠা-বসা করা দায় হয়।এই সমস্যা কিন্তু মাঝবয়সীদের মধ্যেই বেশি।কিছু ব্যায়ামের সাহায্য নিন। প্রয়োজনে অর্থোপেডিক চিকিৎসকের পরামর্শ মতো ব্যায়াম শুরু করুন। উপকার পাবেন।তাতে ব্যথার হাঁটুর পেশি নমনীয় থাকবে।ব্যথা কমবে তাড়াতাড়ি।‌হালকা হাঁটাহাঁটি, সাইকেল চালানো কিংবা যোগব্যায়াম— যে কোনওটি‌ই করা যেতে পারে নিয়ম মেনে। তবে কোন পুরনো চোট লেগে থাকলে এ ধরনের ব্যায়াম শুরুর আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া কিন্তু জরুরি।

হাঁটু ব্যথা যে কারণেই হোক, ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে আরাম হবে। তবে কখনওই সরাসরি বরফ দেবেন না। আইস প্যাক ব্যবহার করুন কিংবা কোনও সুতির কাপড়ে বরফ বেঁধে নিন। ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার পরে আলতো করে কোনও ব্যথার মলম লাগিয়ে রাখুন।