আজকাল ওয়েবডেস্ক: কংক্রিটের জঙ্গলে এক টুকরো সবুজ মানেই ছাদবাগান। অনেকের কাছেই এই শখের বাগান প্রাণের আরাম। তবে গ্রীষ্মের দাবদহের মধ্যেই মাঝেমধ্যে দেখা দিচ্ছে কালবৈশাখী। কালবৈশাখীতে সাধের বাগান রক্ষা করা বেশ বড় চ্যালেঞ্জ। অতিরিক্ত জল, ঝোড়ো হাওয়া এবং পোকার উপদ্রব থেকে গাছগুলিকে বাঁচাতে তাই আগেই কিছু প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন।

১.  জল নিকাশি ব্যবস্থার উন্নতি: বৃষ্টির প্রধান সমস্যা হল অতিরিক্ত জল। টবে বা বেডে জল জমে গেলে গাছের গোড়া পচে যেতে পারে। তাই প্রথমেই নিশ্চিত করুন প্রতিটি টবের নিচে পর্যাপ্ত ড্রেনেজ হোল বা ছিদ্র রয়েছে এবং সেগুলি খোলা আছে। প্রয়োজনে টবের নিচে ইটের টুকরো বা ছোট স্ট্যান্ড দিয়ে উঁচু করে দিন, যাতে অতিরিক্ত জল সহজেই বেরিয়ে যেতে পারে।
২.  গাছের পরিচর্যা ও অবলম্বন: ঝড়ের আগে গাছের অতিরিক্ত বা দুর্বল ডালপালা ছেঁটে ফেলুন। এতে ঝড়ে ডাল ভেঙে গাছের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা কমবে। লতানো বা দুর্বল কাণ্ডের গাছগুলির জন্য শক্ত খুঁটি বা অবলম্বনের ব্যবস্থা করুন, যাতে সেগুলি ঝোড়ো হাওয়ায় নুয়ে না পড়ে বা ভেঙে না যায়।
৩.  মাটির যত্ন: টবের মাটি যদি খুব এঁটেল হয়, তবে তাতে কিছুটা বালি বা কোকোপিট মিশিয়ে দিন। এতে মাটির জলধারণ ক্ষমতা সঠিক থাকবে এবং অতিরিক্ত জল বেরিয়ে যেতে সাহায্য করবে। বৃষ্টির ঠিক আগে বেশি রাসায়নিক সার প্রয়োগ না করাই ভাল। জৈব সার, (যেমন ভার্মিকম্পোস্ট) অল্প পরিমাণে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৪.  রোগ ও পোকা দমনে সতর্কতা: এই সময় ছত্রাকজনিত রোগ ও পোকার আক্রমণ বাড়ে। তাই বৃষ্টি নামার আগেই নিম তেল বা অন্য কোনও জৈব কীটনাশক প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা হিসেবে স্প্রে করতে পারেন। নিয়মিত গাছ পর্যবেক্ষণ করুন, কোনও রকম সমস্যা দেখলে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।
৫.  সংবেদনশীল গাছের স্থানান্তর: কিছু গাছ অতিরিক্ত বৃষ্টি একেবারেই সহ্য করতে পারে না, যেমন ক্যাকটাস বা সাকুলেন্ট জাতীয় গাছ। এমন সংবেদনশীল গাছগুলিকে বিকেলে ছাউনির নিচে বা বারান্দায় সরিয়ে রাখার ব্যবস্থা করুন।