আজকাল সারা সপ্তাহ অফিস, কাজকর্ম আর নানা ব্যস্ততার কারণে ঘর ঠিকভাবে পরিষ্কার করা অনেকের পক্ষেই সম্ভব হয় না। প্রতিদিন ঝাড় দিলে বা মুছলেও ঘরের অনেক জায়গায় ধুলো, ময়লা আর জীবাণু জমে থাকে। তাই সপ্তাহে একদিন বিশেষ করে রবিবার ছুটির দিনে পুরো ঘর ডিপ ক্লিনিং করা খুব দরকার। এতে ঘর যেমন পরিষ্কার থাকে, তেমনই পরিবারের সকলের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে।  

ডিপ ক্লিনিং শুরু করার আগে ছোট পরিকল্পনা করে নিন। কোন ঘর আগে পরিষ্কার করবেন, কোন জিনিস কোথায় রাখবেন-এসব ঠিক করে নিলে কাজ সহজ হয়। সব সময় পরিষ্কার শুরু করুন উপর থেকে নিচে। প্রথমে সিলিং ফ্যান, লাইট, ছাদের কোণা এবং জানালার উপরের অংশ পরিষ্কার করুন। এই জায়গাগুলোতে সবচেয়ে বেশি ধুলো জমে। নরম কাপড় বা ঝাড়ু দিয়ে মুছে নিলে ধুলো নিচে পড়বে না।

এরপর রান্নাঘরের দিকে নজর দিন। কিচেন ডিপ ক্লিনিংয়ের সময় আলমারি ও তাকের সব জিনিস বার করে ভেতরটা ভালভাবে মুছুন। গ্যাস ওভেন, সিঙ্ক, রান্নার জায়গা এবং চিমনিতে তেল ও ময়লা জমে থাকে, তাই এগুলো আলাদা করে পরিষ্কার করা দরকার। সপ্তাহে একদিন ভাল করে কিচেন পরিষ্কার করলে পোকামাকড়ের সমস্যাও অনেক কমে।

লিভিং রুম ও বেডরুম পরিষ্কার করার সময় সোফা, বিছানা, কার্পেট ও পর্দার দিকে বিশেষ নজর দিন। বালিশের কভার, চাদর আর পর্দা ধুয়ে নিলে ঘরের বাতাস অনেক পরিষ্কার থাকে। দরজার হ্যান্ডেল, সুইচ বোর্ড, টিভি রিমোট-এই জায়গাগুলোতে আমরা বারবার হাত দিই, তাই জীবাণুও বেশি থাকে। ভেজা কাপড় বা হালকা ক্লিনার দিয়ে মুছে নিলে ভাল হয়।

বাথরুম ডিপ ক্লিনিং করা খুবই জরুরি। টয়লেট, সিঙ্ক, টাইলস ও ড্রেন ঠিকভাবে পরিষ্কার করুন। বাথরুমে নিয়মিত ফিনাইল বা জীবাণুনাশক ব্যবহার করলে দুর্গন্ধ ও সংক্রমণের ভয় কমে।
সবশেষে ঘরের সেই জায়গাগুলো পরিষ্কার করুন, যেগুলো বেশিরভাগ সময়ে চোখ এড়িয়ে যায়। যেমন খাটের নিচে, আলমারির উপরে, ফ্রিজের পিছন দিক বা জানালার গ্রিল। এগুলো পরিষ্কার করলে পুরো ঘর ঝকঝকে দেখায়। 

ছুটির দিন এই সব নিয়ম মেনে ডিপ ক্লিনিং করলেই ঘর পরিষ্কার, সুন্দর রাখতে পারবেন।