মেকআপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল লিপস্টিক। পোশাকের সঙ্গে মানানসই শেডের লিপস্টিক সাজের মাত্রা কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেয়। বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের লিপস্টিক পাওয়া যায়। যেমন ম্যাট শেড, ন্যুড ইত্যাদি। এছাড়াও রয়েছে লিকুইড, ক্রেয়ন এবং আরও অনেক ধরনের লিপস্টিক। তবে যে ধরনের লিপস্টিকই পরুন না কেন, তা যদি কিছুক্ষণের মধ্যে ঘেঁটে যায় তাহলে সাজের বারোটা বাজে বৈ কী! তাই দীর্ঘক্ষণ ঠোঁটের রং ঠিক রাখার জন্য জানতে হবে লিপস্টিক পরার সঠিক কৌশল। রইল তারই হদিশ-
*লিপস্টিক লাগানোর আগে ঠোঁটকে তৈরি করুন। যার জন্য প্রথমে চিনি দিয়ে ঠোঁট স্ক্রাব করে নিন। তারপর ঠোঁটকে ময়শ্চারাইজ করতে লিপ বাম লাগান। লিপস্টিক লাগানোর ১০ মিনিট আগে লিপ বাম লাগান। এতে লিপস্টিক পরলে স্মাজ হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে। এবার পছন্দের শেডের লিপস্টিক পরুন।
*বাজারে একাধিক লিপ প্রাইমার পাওয়া যায়। লিপস্টিক যাতে স্মাজ না হয় তার জন্য লিপ প্রাইমার ব্যবহার করতে পারেন। প্রাইমার হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা জেলকে।
আরও পড়ুনঃ পুজোর আগে অতিরিক্ত ত্বক-চুলের পরিচর্যা শুরু করেছেন? আচমকা বাড়তি যত্নে উল্টে ক্ষতি হতে পারে!
*মহিলারা প্রায়ই লিপ লাইনারের গুরুত্ব উপেক্ষা করেন। কিন্তু লিপ লাইনার ঠোঁটের গ্যাপকে পূরণ করে এবং ঠোঁটকে সম্পূর্ণ লুক দেয়।
*লিপস্টিক পরার পর অতিরিক্ত যে লিপস্টিক ঠোঁটে থাকবে সেটি টিস্যু পেপার দিয়ে মুছে নেওয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে সাধারণ টিস্যু পেপারই ব্যবহার করতে পারেন।

*ম্যাট লিপস্টিক ব্যবহার করুন, এতে স্মাজ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কম। অনেকেই মনে করেন যে ম্যাট লিপস্টিক ঠোঁটকে শুষ্ক করে দেয়। সেক্ষেত্রে লিপবাম ব্যবহার করা আবশ্যক। আপনার যদি খুব শুষ্ক ঠোঁট হয়ে থাকে তাহলে ম্যাট লিপস্টিক এড়িয়ে চলতে পারেন। এর বদলে ক্রিমি টেক্সচারের লিপস্টিক বেছে নিন।
আরও পড়ুনঃ সন্তানের চোখের সমস্যা হয়তো আপনি টেরই পাচ্ছেন না! শিশুর কোন কোন লক্ষণ দেখলে সতর্ক হবেন?
*লিপস্টিক লাগানোর পরে ছোট নরম ব্রাশ দিয়ে টিস্যুর উপরে কিছুটা পাউডার ছড়িয়ে দিন। এই অবস্থায় ৫ থেকে ১০ সেকেন্ডের জন্য রেখে দিন। এই পদ্ধতিতে লিপস্টিক পরলে স্মাজ হয়ে যাওয়া আটকাতে পারবেন এবং ঠোঁটে লিপস্টিকের কালার দীর্ঘস্থায়ী করতে পারবেন।
*লিপস্টিক পরে অতিরিক্ত তৈলাক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন। খাবারের তেল সহজে লিপস্টিক ফিকে করে দেয়।
