আজকাল ওয়েবডেস্ক: দিনভর হাড়ভাঙা খাটুনির পর বাড়ি ফিরে অনেকেই দু’টো নরম রুটি খোঁজেন। কিন্তু সেই রুটিই যদি পাতে পড়ে চামড়ার মতো শক্ত হয়ে যায়, তবে রসনাতৃপ্তি তো দূরের কথা, মেজাজ বিগড়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। বহু মানুষের কাছেই নরম, তুলতুলে আর ফুলকো রুটি বানানো এক মস্ত বড় চ্যালেঞ্জ। আটা মাখা থেকে সেঁকা পর্যন্ত প্রতিটি ধাপে একটু ভুলচুক হলেই সমস্ত পরিশ্রম জলে যায়।
অনেকেই ভাবেন, নরম রুটি বানানো হয়তো বিশেষ কোনও দক্ষতার পরিচায়ক, যা সহজে আয়ত্ত করা যায় না। ধারণাটি কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। এর জন্য প্রয়োজন নেই কোনও ম্যাজিকের। কয়েকটি ছোট ছোট কৌশল আর সামান্য যত্ন নিলেই আপনার রান্নাঘরেও তৈরি হতে পারে হোটেলের মতো নরম রুটি। আসুন, জেনে নেওয়া যাক সেই গোপন রহস্যগুলি।
১। জলের উষ্ণতা: রুটি শক্ত হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ হল ঠান্ডা জল দিয়ে আটা মাখা। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, আটা মাখার জন্য সব সময় ঈষদুষ্ণ বা হালকা গরম জল ব্যবহার করা উচিত। গরম জল আটার মধ্যে থাকা গ্লুটেনকে সক্রিয় করে তোলে, যার ফলে ময়দা মাখা বা ‘ডো’ অনেক বেশি নরম ও স্থিতিস্থাপক হয়। এর ফলে রুটি বেলার সময় সুবিধা হয় এবং সেঁকার পরেও তা দীর্ঘক্ষণ নরম থাকে।
২। আটা মাখার কৌশল: রুটি বানানোর দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হল সঠিক পদ্ধতিতে আটা মাখা। তাড়াহুড়ো করে কোনও রকমে জল দিয়ে আটা মেখে নিলেই চলবে না। সময় নিয়ে, চেপে চেপে আটা মাখতে হবে, যাকে বলে ‘ঠাসা’। অন্তত ৭ থেকে ১০ মিনিট ধরে ডো-টিকে মসৃণ করে মাখুন। মাখাটা এমন হবে যেন তা কানের লতির মতো নরম হয়, কিন্তু হাতে লেগে না যায়। মাখার শুরুতে আটার সঙ্গে এক চিমটে নুন এবং এক চামচ সাদা তেল বা ঘি মিশিয়ে নিলে রুটির স্বাদও খোলে এবং তা নরমও হয়।
আরও পড়ুন: মধুচক্র চালানোয় অভিযুক্ত অভিনেত্রী অনুষ্কা দাস! সেক্স র্যাকেট থেকে উদ্ধার বাংলা সিরিয়ালের আরও ২ নায়িকা! তুলকালাম মহারাষ্ট্রে
৩। কিছুক্ষণ রেখে দিন: আটা মেখে নেওয়ার পরক্ষণেই সঙ্গে সঙ্গে রুটি বেলতে শুরু করা একটি বড় ভুল। মসৃণ করে মাখা ডো-টিকে একটি ভেজা কাপড় বা ঢাকনা দিয়ে ঢেকে অন্তত ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। এই সময়টুকুতে আটার কণাগুলি জল শোষণ করে ফুলে উঠবে এবং গ্লুটেন সম্পূর্ণভাবে সক্রিয় হবে। এই প্রক্রিয়াটিকে ‘রেস্টিং’ বলা হয়। এর ফলে রুটি কেবল নরমই হয় না, হজমও হয় সহজে।
৪। বেলা এবং সেঁকার সঠিক পদ্ধতি: রুটি বেলার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন সব দিক সমান পুরু হয়। কোথাও মোটা, কোথাও পাতলা হলে রুটি ঠিকমতো ফুলবে না এবং শক্ত হয়ে যাবে। এরপর আসে সেঁকার পালা। প্রথমে গরম তাওয়া বা চাটুতে রুটির এক পিঠ কয়েক সেকেন্ড রাখুন। যখন ছোট ছোট বুদবুদ দেখা দেবে, তখন উল্টে দিন। অপর পিঠটিও খানিকক্ষণ সেঁকার পর চিমটে দিয়ে রুটিটিকে সরাসরি আগুনের উপর ধরুন। দেখবেন, ম্যাজিক বলের মতো ফুলে উঠবে রুটি। দুই পিঠ হালকা বাদামি হওয়া পর্যন্ত সেঁকে নিলেই তৈরি নরম, গরম রুটি।
আরও পড়ুন: মধুচক্র চালানোয় অভিযুক্ত অভিনেত্রী অনুষ্কা দাস! সেক্স র্যাকেট থেকে উদ্ধার বাংলা সিরিয়ালের আরও ২ নায়িকা! তুলকালাম মহারাষ্ট্রে
এই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখলেই শক্ত রুটির সমস্যা থেকে চিরতরে মুক্তি মিলবে। গরম রুটিতে সামান্য ঘি মাখিয়ে পরিবেশন করলে তার স্বাদ ও গন্ধ দুই-ই বাড়বে।
