প্যাচপ্যাচে গরমের পর বর্ষাকাল খানিকটা স্বস্তি নিয়ে আসে বটে। তবে এই বৃষ্টির মরশুমের হাত ধরেই শরীর থেকে ত্বকের হরেক সমস্যা। বর্ষায় যেমন নানা রোগব্যাধি দূরে রাখতে শরীরের বাড়তি যত্ন নেওয়া দরকার, তেমনি ঘরের আসবাব ভাল রাখতে সঠিক যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। কারণ এই সময়ের জল এবং ভেজা আবহাওয়া কাঠের অন্যতম শত্রু। কাজেই বর্ষাকালে কাঠের আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। সঠিক যত্ন না নিলে কাঠে ছত্রাক, ফোলা, এমনকি পচনও ধরতে পারে। সামান্য অযত্ন ও অবহেলায় কাঠের আসবাবপত্র দ্রুত মলিন ও নষ্ট হয়ে যায়। সেক্ষেত্রে কয়েকটি টিপস মানলে বর্ষায় কাঠের আসবাবপত্র ভাল রাখতে পারবেন।


১. জানালা-দরজা থেকে ফার্নিচার দূরে রাখুনঃ বর্ষায় জানালা বা দরজার ফাঁক দিয়ে জল ঢোকার আশঙ্কা থাকে। তাই কাঠের আসবাবপত্র যেন বৃষ্টির জল বা ছাঁটের সংস্পর্শে না আসে, সেদিকে খেয়াল রাখুন।


২. নিয়মিত শুকনো কাপড় দিয়ে মুছুনঃ আর্দ্রতা থেকে কাঠের আসবাবপত্র নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই নরম, শুকনো কাপড় দিয়ে নিয়মিত মুছুন। এতে আসবাবপত্রের গায়ে যেন আর্দ্রতা জমে।


৩.বোরিক পাউডার বা ন্যাপথালিন বল ব্যবহার করুনঃ আলমারি বা ড্রয়ারে বোরিক পাউডার, সিলিকা জেল বা ন্যাপথালিন বল রাখলে আর্দ্রতা শোষণ হবে এবং পোকামাকড় থেকেও আসবাবপত্রকে সুরক্ষা দিতে পারবেন। 

৪. পলিশ বা ওয়াক্স ব্যবহার করুনঃ ফার্নিচারে ভাল মানের পলিশ বা ওয়াক্স ব্যবহার করলে কাঠের উপর একটি রক্ষাকবচ তৈরি হয়, যা জল শোষণ রোধ করে।

৫. ভেজা কাপড়ে মুছবেন নাঃ ভেজা কাপড়ে কখনও আসবাবপত্র মুছবেন না। এতে ছত্রাক পড়তে পারে। কোনও জেদি দাগ তোলার জন্যও নয় ভেজা কাপড় নয়, প্রয়োজনে নারকেল তেল ব্যবহার করতে পারেন। বরং শুকনো কাপড় দিয়ে মুছুন।

৬. রুম হিটার ব্যবহারঃ রুম হিটার থাকলে ঘরে দরজা বন্ধ রেখে কিছুক্ষণ চালিয়ে রাখতে পারেন। এতে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দূর হওয়ার পাশাপাশি আসবাবের ভেজাভাবও দূর হবে। 

৭. ভেন্টিলেশন ঠিক রাখুনঃ ঘরের ভেতরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখুন। খোলা জানালা বা ফ্যান চালিয়ে রাখলে আর্দ্রতা জমে থাকবে না।

৮. ডি-হিউমিডিফায়ার বা কয়লা ব্যবহার করুনঃ যদি ঘরে অতিরিক্ত স্যাঁতসেঁতে হয়, তাহলে ডি-হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন অথবা একটি পাত্রে কয়লা রাখতে পারেন। এটি প্রাকৃতিকভাবে আর্দ্রতা শুষে নেয়।