আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুষ্টিবিদরা বলেন, রোজ একটা করে ডিম খাওয়া শরীরের জন্য ভাল। অনেকে প্রায়ই ব্রেকফাস্টে ডিম সেদ্ধ কিংবা অমলেট খান। নি:সন্দেহে ডিম একটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাবার। এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন। হিসেব অনুযায়ী, একটি ডিম থেকেই প্রায় ৬ গ্রাম প্রোটিন মেলে। তাই দেহে এই ম্যাক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি মেটানোর কাজে ডিমের জুড়ি মেলা ভার। এই সস্তায় পুষ্টিকর খাবার নি:সন্দেহে ভিটামিন এ, ডি, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মতো অত্যন্ত উপকারী কিছু ভিটামিন ও খনিজের ভাণ্ডার। এত পুষ্টি থাকা সত্ত্বেও কিছু নির্দিষ্ট শারীরিক অবস্থায় ডিম খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে। কাদের বুঝেশুনে ডিম খাওয়া উচিত, জেনে নিন-
১. অ্যালার্জি: অনেকের ডিমে অ্যালার্জি থাকে। সেক্ষেত্রে ডিম খাওয়ার ফলে চুলকানি, ফুসকুড়ি, বমি, শ্বাসকষ্ট বা অ্যানাফাইল্যাক্সিস হতে পারে।
২. লিভারের সমস্যা: যাদের লিভারের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য ডিমে থাকা অতিরিক্ত প্রোটিন হজম করা কঠিন। ডিম লিভারের উপর চাপ তৈরি করতে পারে।
৩. হৃদরোগে: ডিমের কুসুমে উচ্চমাত্রায় কোলেস্টেরল থাকে। যাদের হৃদরোগ বা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য প্রতিদিন ডিম খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।
৪. ডায়াবেটিস: গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ডায়াবেটিস রোগীদের অতিরিক্ত ডিম খাওয়ার ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই শরীরে ব্লাড সুগারের মাত্রা বেশি থাকলে সীমিত পরিমাণে ডিম খাওয়া উচিত।
৫. অতিরিক্ত ওজন: ডিমে ক্যালোরি ও ফ্যাট থাকায় ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে। তাই যারা ওজন কমানোর ডায়েটে আছেন, তাদের প্রতিদিন ডিম খাওয়ার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।
