গত এক মাস ধরে চলছে উৎসবের মরশুম। দুর্গাপুজো, লক্ষীপুজো, কালীপুজোর পর মিটেছে ভাইফোঁটার পর্ব। আর যে কোনও উৎসব মানেই আনন্দ, আড্ডার সঙ্গেই চলে জমিয়ে ভূরিভোজও। এদিকে টানা গুরুপাক খাওয়া-দাওয়ায় বাড়ে বদহজমের সমস্যা। অনেককেই ভরসা রাখতে হয় ওষুধের উপর। কিন্তু টানা ওষুধ খাওয়ার যে আবার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। সেক্ষেত্রে কয়েকটি ঘরোয়া উপায়েও স্বস্তি পেতে পারেন। জেনে নেওয়া যাক সেইসব বিষয়ে-
*অ্যাসিড রিফ্লাক্সের বিরুদ্ধে প্রতিরোধক হিসাবে কাজ করতে পারে কলা। তাই টানা গুরুপাক খাওয়া-দাওয়ার পর প্রতিদিন একটি করে কলা খান। কলায় প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম থাকে। এটি একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড। ফলে গ্যাস-অম্বলের সম্ভাবনা কমে।
*গ্যাস্ট্রিক বা অ্যাসিডিটির কার্যকারিতা কমাতে সহায়ক তুলসী পাতা। বদহজমের সমস্যা হলেই ৫-৬টি তুলসী পাতা চিবিয়ে খেয়ে নিন কিংবা তুলসীপাতা ফোটানো জলে একটু মধু মিশিয়ে খেলেই চটজলদি আরাম পাবেন।
আরও পড়ুনঃ সপ্তাহে একদিন মদ্যপান লিভারের বারোটা বাজায় না? সঠিক উত্তর জানলে অ্যালকোহল নিয়ে ধারণা বদলে যাবে
*দারচিনিতে রয়েছে প্রাকৃতিক অ্যান্টাসিড যা হজম ক্ষমতার উন্নতি করে। আধ চা চামচ দারচিনি গুঁড়ো এক কাপ জলে মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। এরপর ঠান্ডা করে পান করুন। প্রতিদিন এভাবে তিনবার দারচিনি মিশ্রিত জল পান করলে স্বস্তি পাবেন।

*পুদিনা পাতা হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এই পাতার একটি শীতলীকরণ প্রভাবও আছে যা অ্যাসিড রিফ্লাক্সের সঙ্গে গলা, বুক জ্বালা কমায়। কয়েকটা পুদিনা পাতা জলে ফুটিয়ে সেই জল ছেঁকে ঠান্ডা করে পান করলে উপকার পাবেন।
*খুব তাড়াতাড়ি অ্যাসিড কমিয়ে দিতে পারে মৌরি। বদহজম এবং পেট ফাঁপার চিকিৎসায়ও এটি বেশ কার্যকর। এক গ্লাস জলে কয়েকটি মৌরি সারা রাত ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে তা পান করলে শরীর ঠান্ডা থাকবে এবং গ্যাস অম্বলের সম্ভাবনাও কমবে।
এছাড়াও আদা কুচি করে বিট নুন দিয়ে খেলে গ্যাসের সমস্যায় উপকার পাবেন। অ্যাসিড রিফ্ল্যাক্স কমাতে কার্যকরী ঠান্ডা দুধ। অ্যাসিডিটির সমস্যা হলেই এক গ্লাস ঠান্ডা দুধ পান করুন। অতিরিক্ত অ্যাসিড নিঃসরণের সম্ভাবনা দূর করে এলাচ। গ্যাস অম্বলের সমস্যায় দুটি এলাচ গুঁড়ো করে জলে ফুটিয়ে খেলে উপকার পাবেন।
তবে যদি সমস্যা অত্যন্ত জটিল হয় তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
