আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিরাট কোহলি থেকে রণবীর সিং, নরেন্দ্র মোদি থেকে রাহুল গান্ধী, ভারতীয় পুরুষদের মধ্যে আজকাল বিভিন্ন ধরনের দাড়ি রাখার চল বেশ বেড়েছে। কিন্তু দাড়ি রাখলেই তো হল না, দাড়ির যত্ন নেওয়াও জরুরি। জানেন কি চুলের মতো দাড়িতেও খুশকি হতে পারে? মালাসেজিয়া গ্লোবোসা নামক এক প্রকারের ছত্রাকের অতিরিক্ত বৃদ্ধি খুশকির একটি প্রধান কারণ। এছাড়া শুষ্ক ত্বক, অতিরিক্ত সেবাম ক্ষরণ কিংবা সেবোরিক ডার্মাটাইটিস-এর মতো অসুখের কারণেও দাড়ির সমস্যা হয়। কীভাবে যত্ন নেবেন দাড়ির?
১. নিয়মিত পরিষ্কার করা: প্রতিদিন হালকা গরম জল দিয়ে দাড়ি ধুয়ে ফেলুন। এর ফলে দাড়িতে জমে থাকা ময়লা ও তেল দূর হবে। সপ্তাহে দুই-তিনবার হালকা শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন, তবে অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে দাড়ি রুক্ষ হয়ে যেতে পারে।
২. প্রাকৃতিক তেল মালিশ: নারকেল তেল, বাদাম তেল, জলপাই তেল বা জোজোবা তেল হালকা গরম করে দাড়িতে ও দাড়ির নিচের ত্বকে মালিশ করুন। এই তেলগুলি দাড়ি নরম ও ময়েশ্চারাইজড রাখতে সাহায্য করে এবং দাড়ির বৃদ্ধিও ভাল হয়। রাতে তেল মেখে সকালে ধুয়ে ফেলতে পারেন।
৩. অ্যালোভেরা জেল: অ্যালোভেরার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং ময়েশ্চারাইজিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাজা অ্যালোভেরা জেল দাড়িতে লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে ধুয়ে ফেললে দাড়ি মসৃণ হয় এবং ত্বকের জ্বালা বা খুশকি কমাতে সাহায্য করে।
৪. লেবুর রস (সাবধানে ব্যবহার করুন): এক চামচ লেবুর রসের সঙ্গে কয়েক চামচ জল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি দাড়িতে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। লেবুর রস খুশকি কমাতে সাহায্য করতে পারে, তবে লেবুর রসে ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে তাই খুব বেশি ব্যবহার করা উচিত না। ব্যবহারের পর অবশ্যই ময়েশ্চারাইজার লাগান।
৫. মধু: মধু একটি প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান। সামান্য মধু দাড়িতে লাগিয়ে ২০-৩০ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে দাড়ি নরম ও চকচকে হয় এবং ত্বকের সংক্রমণও কমে।
