আজকাল ওয়েবডেস্ক: জীবনযাত্রার গতি বাড়ছে প্রতিনিয়ত। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মানুষের সঙ্গে মানুষের দূরত্বও। কাজের চাপে অনেকেই বাবা মাকে সময় দিতে পারেন না। ওদিকে তাঁদের ক্রমশ গ্রাস করে বার্ধক্য।
অথচ মনোবিদরা বারবার মনে করিয়ে দেন, বার্ধক্যে পৌঁছলেও চনমনে থাকা কতটা জরুরি। বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শরীর দুর্বল হতে শুরু করে। চনমনে থাকলে পেশী শক্তিশালী থাকে, হাড়ের ঘনত্ব বজায় থাকে, শরীরের ভারসাম্য ঠিক থাকে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমে। শরীরের মতোই গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্যও। একাকিত্ব এবং নিষ্ক্রিয়তা বয়স্কদের মধ্যে বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং স্মৃতিভ্রংশের মতো সমস্যা বাড়াতে পারে। চনমনে থাকলে মন প্রফুল্ল থাকে, নতুন কিছু শেখার আগ্রহ বাড়ে এবং স্মৃতিশক্তি ভাল থাকে।
কীভাবে বয়স্ক বাবা-মাকে চনমনে রাখা যায়?
১। হালকা ব্যায়ামে উৎসাহিত করা
বয়স অনুসারে শারীরিক ক্ষমতা অনুযায়ী হাঁটা, যোগা, তাই চি বা হালকা স্ট্রেচিংয়ের মতো ব্যায়াম করতে উৎসাহিত করুন বাবা মাকে। এতে শরীর ফিট থাকবে।
২। তাঁদের আগ্রহের প্রতি মনোযোগ দেওয়া
বাবা মা হয়তো আপনাকে সংসারের চাপে নিজেদের অনেক শখ আহ্লাদ পূরণ করতে পারেননি। তাঁদের সেই পছন্দের কাজগুলিতে উৎসাহ দিন। বাগান করা, বই পড়া, গান শোনা, ছবি আঁকা বা অন্য কোনও শখের প্রতি উৎসাহিত করুন।
৩। সামাজিক যোগাযোগের সুযোগ তৈরি করা
বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয়-স্বজন বা সমবয়সীদের সঙ্গে দেখা করার বা কথা বলার সুযোগ করে দিন। বাবা মাকে স্থানীয় সামাজিক ক্লাব বা বয়স্কদের জন্য তৈরি কোনও সংগঠনে যোগ দিতে উৎসাহিত করতে পারেন।
৪। প্রযুক্তির ব্যবহার শেখানো
আজকালকার অনেক ছেলে মেয়েই বাবা-মাকে আধুনিক প্রযুক্তি শেখাতে আগ্রহী নন। আরে মশাই আপনি যখন শিশু ছিলেন তাঁরা আপনাকে চামচ ব্যবহার করতে শিখিয়েছেন। এখন তাঁদের প্রযুক্তি শেখানোর ধৈর্যটুকু না দেখালে চলবে কেমন করে? বরং মা বাবাকে একটু সময় নিয়ে মোবাইল ফোন, ট্যাবলেট বা কম্পিউটারের মতো প্রযুক্তি ব্যবহার করা শেখান। এর মাধ্যমে তাঁরা প্রিয়জনদের সঙ্গে অনলাইনে যুক্ত থাকতে পারবেন এবং বিভিন্ন বিনোদনমূলক বা শিক্ষামূলক কনটেন্ট দেখতে পারবেন।
৫। একসঙ্গে সময় কাটানো
বৃদ্ধ মা বাবাকে দেওয়ার মতো সবচেয়ে ভাল উপহার সময়। অফিস থেকে ফিরে অল্প কিছুক্ষণ হলেও গল্প করুন, তাঁদের কথা শুনুন এবং তাঁদের অনুভূতি বোঝার চেষ্টা করুন। একসঙ্গে কাটানো এই সময়টুকুই তাঁদের মানসিক শান্তি এনে দেবে।
