আজকাল ওয়েবডেস্ক: প্রাচীনকাল থেকেই গ্রহ নক্ষত্রের অবস্থান বিচার করে ভাগ্যলিপির ভাল-মন্দের কথা জানান দিচ্ছে জ্যোতিষশাস্ত্র। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী নবগ্রহের অবস্থান এদিক ওদিক হলেই তার প্রভাব পড়ে মানুষের জীবনে। সেই গ্রহ নক্ষত্র বিচার করেই এবার ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ বাণী শোনালেন সেলিব্রেটি জ্যোতিষী বিনোদ কুমার। কী জানিয়েছেন তিনি?
নিজের সাম্প্রতিকতম ভবিষ্যদ্বাণীতে বিনোদ কুমার জানিয়েছেন আগামী ৭ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে আসতে চলেছে উত্তর ভারতে। এই পক্ষকালকে স্পর্শকাতর আখ্যা দিয়ে জ্যোতিষী দাবি করেছেন, এই সময় গ্রহের অবস্থান এমনই বিচিত্র থাকবে যার ফলে বদলে যেতে পারে আবহাওয়া। এই গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে গ্রহরাজ শনি প্রবেশ করবেন মীন রাশিতে। মনে রাখতে হবে মীন রাশি জলের রাশি। আবার চন্দ্রের গোচরের প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনাও প্রবল। তবে সবচেয়ে ভয়ের বিষয় হল রাহু কেতুর অক্ষ! এই অক্ষের প্রভাবে মেঘ ভাঙা বৃষ্টি, ঝড় বাদল এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয় নেমে আসতে পারে। জ্যোতিষীর দাবি ৭ থেকে ১০ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে বেশি আশঙ্কার সময়। পূর্ণিমাকে কেন্দ্র করে মারাত্মক বৃষ্টি হতে পারে এই সময়। পাশাপাশি ১৫ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর-এর মধ্যেও ঘটতে পারে বড় বিপর্যয়। কারণ এই সময় সবচেয়ে শক্তিশালী থাকবে রাহু কেতুর অক্ষ।
এই সকল মহাজাগতিক ঘটনার প্রভাবে কী কী ঘটতে পারে তার বিবরণও দিয়েছেন জ্যোতিষী।
১। নদীর জলের স্তর আচমকা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ করে গঙ্গা, যমুনা, ব্রহ্মপুত্র এবং নর্মদায় জলস্ফীতি দেখা দিতে পারে।
২। আঞ্চলিক ভাবেও বানভাসি হতে পারে বিভিন্ন এলাকা। শহর-গ্রাম নির্বিশেষে নিচু জায়গায় জল জমার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
৩। বজ্র বিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে একাধিক অঞ্চলে। অতিরিক্ত বজ্রপাত এবং ঝড় হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
৪। আশঙ্কা রয়েছে ধস নামারও। বিশেষ করে উত্তরাখন্ড, হিমাচল প্রদেশ, অসম, মেঘালয় এবং পঞ্জাবে ভূমিধ্বস দেখা দিতে পারে।
৫। বেড়ে যাবে রোগভোগের আশঙ্কা। ডেঙ্গি, ম্যালেরিয়া এবং টাইফয়েডের মতো রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুন: প্রকাণ্ড করতে গিয়েছিলেন লিঙ্গ, ফস করে পুরোটাই কেটে ফেললেন চিকিৎসক! মাথায় হাত রোগীর
জ্যোতিষীর আশা ২৫ অক্টোবরের পর থেকে ধীরে ধীরে কমে আসবে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। ক্রমশ পরিষ্কার হবে আকাশ। অক্টোবরের শুরুতেই শরতের আগমনে মনোরম হয়ে উঠবে প্রকৃতি।
আরও পড়ুন: প্রকাণ্ড করতে গিয়েছিলেন লিঙ্গ, ফস করে পুরোটাই কেটে ফেললেন চিকিৎসক! মাথায় হাত রোগীর
জ্যোতিষীর এই ভবিষ্যদ্বাণী ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়ে গিয়েছে নেটমাধ্যমে। ইনস্টাগ্রামে এই ভবিষ্যদ্বাণী লাইক করেছেন প্রায় ৪০ হাজার মানুষ। তবে উল্টো ছবিও আছে। নেটিজেনদের একটি বড় অংশ অবশ্য অবশ্য একে জ্যোতিষীর প্রবচন বলে মেনে নিতে নারাজ। এক নেটিজেনের কটাক্ষ, “বাহ বড় তাড়াতাড়ি বললেন তো! আমরা তো এসবের কিছুই দেখতে পাচ্ছিলাম না।” অপর এক নেটাগরিকের বক্তব্য, “এই ধরনের ভবিষ্যদ্বাণী বুজরুকি ছাড়া কিছুই নয়। আবহাওয়া দপ্তর আগে থেকেই আবহাওয়া নিয়ে সতর্ক করেছে। এখন সেই একই কথা বলে নাম কেনার চেষ্টায় আছেন এসব ভণ্ড বাবাজিরা।”
