সময় বদলাচ্ছে, আর তার সঙ্গে পরিবর্তন আসছে ত্বকের যত্নের ধারণাতেও। আগে যেখানে স্কিনকেয়ারে একের পর এক প্রোডাক্ট ব্যবহার করা হত, সেখানে এখন সহজ, কার্যকর আর বিজ্ঞানভিত্তিক ট্রেন্ডই বেশিকভাগ মানুষের পছন্দ। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬ সালে ত্বকের পরিচর্যা হবে আরও স্মার্ট, ব্যক্তিগত ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রিক।

১. কম অথচ সঠিক প্রোডাক্টঃ ২০২৬-এ ‘স্কিনিমালিজম’ আরও জনপ্রিয় হবে। অর্থাৎ অযথা অনেক ক্রিম বা সিরাম নয়, বরং ত্বকের জন্য দরকারি কয়েকটি প্রোডাক্টই যথেষ্ট। এতে ত্বকের ক্ষতি কম হবে এবং ব্রণ হওয়ার আশঙ্কাও কম থাকবে। 

২. স্কিন ‘ব্যারিয়ার’ হবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণঃ ত্বকের উপরের যে প্রাকৃতিক সুরক্ষা স্তর থাকে, তাকে স্কিন ব্যারিয়ার বলা হয়। এই ব্যারিয়ার নষ্ট হলে ত্বক শুষ্ক, রুক্ষ ও সংবেদনশীল হয়ে যায়। ২০২৬-এ এমন প্রোডাক্টের ব্যবহার বাড়বে যা ত্বকের এই সুরক্ষা স্তরকে মজবুত করে। যেমন সেরামাইড বা মাইল্ড ময়েশ্চারাইজার।

৩. সকলের ত্বকের জন্য একইরকম যত্ন নয়ঃ একই ক্রিম সকলের জন্য কাজ করে না, এই ধারণা আরও জোরদার হবে। নতুন প্রযুক্তির সাহায্যে ত্বকের ধরন, বয়স, আবহাওয়া ও জীবনযাপনের উপর ভিত্তি করে পার্সোনালাইজড স্কিনকেয়ার রুটিন তৈরি করা যাবে।

৪. শুধু বাইরে নয়, ভিতর থেকেও যত্নঃ ভাল ত্বক মানে শুধু ফেসক্রিম নয়। কী খাচ্ছেন, কতটা ঘুমোচ্ছেন, মানসিক চাপ কতটা-সব কিছুর প্রভাব পড়ে ত্বকে। তাই ২০২৬-এ স্কিনকেয়ার মানেই হবে ডায়েট, ঘুম ও দুশ্চিন্তা নিয়ন্ত্রণ।

৫. বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত উপাদানের চাহিদাঃ লোক দেখানো বিজ্ঞাপনের বদলে মানুষ খুঁজবেন এমন উপাদান, যেগুলোর কাজ বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত। যেমন নিয়াসিনামাইড, পেপটাইড, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট-এই ধরনের উপাদান আরও জনপ্রিয় হবে।

৬. বয়স আটকানো নয়, সুন্দরভাবে বয়স বাড়ানোঃ এখন ‘অ্যান্টি-এজিং’ নয়, ‘ওয়েল-এজিং’ ধারণা ট্রেন্ডিং। অর্থাৎ বয়স বাড়লেও ত্বক যেন সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত থাকে-এটাই হবে আগামী দিনের লক্ষ্য।

৭. আধুনিক স্কিন ট্রিটমেন্টের ব্যবহারঃ ক্রিমের পাশাপাশি ত্বক বিশেষজ্ঞের পরামর্শে আধুনিক ট্রিটমেন্ট যেমন মাইক্রোনিডলিং বা লাইট থেরাপির চল বাড়বে।