আজকাল ওয়েবডেস্ক : সারাদিনের ব্যস্ততার পর শুয়েই শব্দ শুরু মানেই গভীর ঘুম। কিন্তু মাঝে মধ্যেই ঘুম ভেঙে যায়? ব্যাপারটাকে একেবারেই পাত্তা দেওয়া হয় না তেমন। রাতে ঘুম ভেঙে যাচ্ছে এতে কেও অস্বাভাবিকতা খুঁজে পাননি কেও। ঘুম ভাঙলেই বাথরুম সেরে সামান্য জল খেয়ে ফের শুয়ে পড়া খুব সাধারণ ঘটনা। রোজই প্রায় মাঝরাতে ঘুম ভেঙে যায়। কিন্তু কী কারণে ঘুম ভাঙে তার আসল কারণ অনেকেরই অজানা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হঠাৎ ঘুম ভেঙে যাওয়াটা স্বাস্থ্যের পক্ষে বেশ মারাত্মক। প্রধানত শ্বাস প্রঃশ্বাস বাধা পাওয়ার কারণেই ঘুম ভেঙে যায়। ফলে ব্যথা, অঙ্গ প্রত্যঙ্গের অস্বস্তি, ট্রমা, গা গরম অথবা খুব ঠান্ডা হয়ে যেতে পারে। রাতে হঠাৎ ঘুম ভাঙার সমস্যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে শুরু করে। সমীক্ষা বলছে, ঘুম ভাঙার এই সমস্যার সঙ্গে বাড়তে শুরু করে হার্ট এবং রক্ত চলাচলের সমস্যাও। মৃত্যুর সম্ভাবনাও বাড়তে থাকে এবং এই সমস্যা প্রধানত হয় মহিলাদের। মনোবিদরা বলেন, রাতের ঘুমে ব্যাঘাত না ঘটানোর কয়েকটি কৌশল রয়েছে যা মেনে চলতে পারলেই সমস্যার সমাধান করা যায়।
শ্বাস বন্ধ হয়ে ঘুম প্রায়ই ভেঙে যায়। সেই সমস্যা মেটাতে গেলে শোওয়ার কায়দা ঠিক করুন। দম বন্ধ হয়ে গেলে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন, শ্বাস নিতে সুবিধে হবে। চেষ্টা করুন শব্দহীন ঘরে ঘুমোতে। ঘুমোবার আগে ডিপ ব্রিদিং করলে খুব তাড়াতাড়ি এবং গাঢ় খুব আসে।
গবেষণায় দেখা গেছে ঘুম ভেঙে যাওয়ার সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ে মহিলাদের উপর। এমনিতেই কাজের চাপে মহিলাদের ঘুম তুলনামূলকভাবে কম হয। আবার রাতের ঘুমে বার বার ব্যাঘাত ঘটলে শরীর যে আরও খারাপ হবে তা স্বাভাবিক। হার্টের রোগ মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে এবং এই কারণে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে।
শোওয়ার ঘর যেন যথাসম্ভব আরামপ্রদ হয়। খুব বেশি গরম অথবা ঠান্ডা যেন না হয়। চোখ এবং কানের গার্ড পরে ঘুমোনোর অভ্যেসও করা যেতে পারে।
রাতে ঘুমোতে যাওয়ার অন্তত তিন-চার ঘণ্টা আগে হালকা ব্যায়াম করলে সুফল মিলতে পারে। ক্যাফেইন, নিকোটিন, অ্যালকোহল পরিত্যাগ করতে হবে। ঘুমোতে যাওয়ার আগে অনেকক্ষণ ধরে মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদিতে কাজ করাও বন্ধ করতে হবে। ঘুমের আগে বই পড়া, হালকা গান শোনা অথবা ঈষদুষ্ণ জলে স্নান করার অভ্যেস তৈরি করতে পারলে ভালো।
