আজকাল ওয়েবডেস্কঃ কুকুরের পাশাপাশি অনেকেরই পোষ্য বিড়াল। কিন্তু যাদের পোষ্য নেই, তাদের বাড়িতেও অনেকসময় বিড়াল ঢুকে পড়ে। এই ঘটনা আদতে শুভ না অশুভ? জেনে নিন আসল রহস্য।
কুকুরকে মানুষের সেরা ও সবথেকে অনুগত পোষ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু অপর পোষ্য প্রানী বিড়াল নিয়েও শাস্ত্রে ভিন্ন মত প্রচলিত আছে। বাড়ির বয়স্কদের থেকে শোনা যায় যে বিড়াল ভবিষ্যতের ঘটনাগুলো সম্পর্কে আগাম জানান দিতে পারে, তাই বিড়াল পোষা শুভ বলে মনে করা হয়। আবার অনেকের ধারণা বাড়িতে বিড়াল পোষা উচিত নয়। এরা বাড়িতে নেগেটিভ এনার্জি বয়ে আনে। তবে আদতে কোনটা সত্যি তাই বিচার্য বিষয়।
বাস্তু শাস্ত্র অনুযায়ী, বাদামী রঙের বিড়াল হঠাৎ যদি বাড়িতে আসে তবে তা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বিশ্বাস করা হয় এই বাদামী বিড়াল বাড়িতে সৌভাগ্য বয়ে আনতে পারে তাই বাড়িতে সম্পদ আসার সম্ভাবনাও থাকে। এমনকি পুরোনো কোন আটকে থাকা টাকাও পাওয়ার আশাও দেখা যায়।
হঠাৎ বাড়িতে কোনও কালো বিড়ালের আগমন, রাস্তা পেরনো বা গায়ের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া প্রচন্ড অশুভ বলে মনে করা হয়। এর অর্থ কোনও বড় বিপদ আসতে চলেছে এবং যেই বাড়িতে এসেছে সেখানে অশুভ শক্তির বাস রয়েছে মনে করা হয়।
হঠাৎ টানা বাড়ির বাইরে বিড়ালের কান্না শোনা গেলে খুব খারাপ কিছু হতে চলেছে মনে করা হয়। বাড়িতে একের বেশি বিড়ালের কান্না বা বাড়ির ভিতরে ঝগড়া ও মারামারি করলে বাস্তু শাস্ত্র মতে সেই সংসারে অশান্তি, কলহ ঝগড়া হওয়ার ইঙ্গিত দেয়।
সাদা বিড়ালের ক্ষেত্রে এমন ধারণা রয়েছে যে একে শুভ বলেই মনে করা হয়। সাদা বিড়াল এলে বাড়ি থেকে যাবতীয় নেতিবাচক শক্তি বিদায় নেয় ও ভাল কিছু একটা ঘটতে চলেছে আশা করা যায়।
বাড়িতে বিড়াল ছানা প্রসব করলে তা বাড়ির সদস্যদের জন্য ভীষন শুভ বলে মনে করা হয়। আগামী তিন মাসের মধ্যে বাড়ির সমস্ত অশুভ শক্তি কেটে গিয়ে উন্নতি করবেন ও পুরনো কাজের জট কাটবে।
তবে বাড়িতে বিড়ালের মৃত্যু হলে সেই বাড়িতে সমস্যার সৃষ্টি হয়, পারিবারিক মনোমালিন্য শুরু হয়। আপনি বিড়াল অপছন্দ করলেও কখনও তাকে মারধর করবেন না। এতে আপনার জীবনে দুর্ভাগ্য বয়ে আনতে পারে।
